বরিশাল সিটি নির্বাচনের ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে তত বাড়ছে উত্তাপ। নগরীর অলিগলি ছেয়ে গেছে ব্যানার-পোস্টারে। ভোট প্রার্থনায় পাড়া-মহল্লার অলিগলিতে উঠান বৈঠক, সভাসহ ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন প্রার্থীরা। ভোট পেতে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। সুষ্ঠু ভোট হলে জয়ের আশা মেয়র প্রার্থীদের। গতকাল বেলা ১১টায় নগরীর অভিজাত হোটেলে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও উইমেন্স চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি নেতাসহ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল খায়ের খোকন সেরনিয়াবাত।
সভায় ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। নির্বাচিত হতে পারলে সর্বসাধারণের জন্য সিটি করপোরেশন উন্মুক্ত করে দেওয়ার পাশাপাশি নগরবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
এদিকে সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর কীর্তনখোলা নদী সংলগ্ন রসুলপুর কলোনিতে গণসংযোগ করেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস। এ সময় তিনি বাসিন্দাদের নানা সমস্যা সমাধানে আশ্বাস দেন। নৌকার ওপর ভরসা না রেখে লাঙ্গলে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
অপরদিকে সকাল ১১টা নগরীর সোনালি আইসক্রিম মোড় এলাকায় গণসংযোগ করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। গণসংযোগের সময় তিনি বলেন, ইভিএমে জনগণের আস্থা নেই। তারপরও নির্বাচন কমিশন আশ্বস্ত করেছে। নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হওয়ার আশা করেন তিনি।
এ ছাড়া বিএনপির প্রয়াত সাবেক মেয়র আহসান হাবিব কামালের ছেলে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান রূপন গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের জোড় মসজিদ এবং কাউনিয়া হাউজিং ও টেক্সটাইল এলাকায় গণসংযোগ করেন।
অন্য তিন মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা নগরীতে দেখা যায়নি।
১২ জুন বরিশাল সিটিতে ১২৬টি কেন্দ্রের ৯৯৪টি বুথে ইভিএমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবার মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন।