মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

মোহনীয় মায়াদ্বীপ

দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

মোহনীয় মায়াদ্বীপ

মায়াদ্বীপের সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিনই হাজারো পর্যটকের ভিড় লেগে আছে। এই চরে যাওয়ার পথে পর্যটকরা মেঘনা নদীতে জেলেদের রুপালি ইলিশ ধরা দেখছেন। পালের নৌকায় চড়ে মেঘনার ঢেউ দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন। এ দ্বীপকে ঘিরে পর্যটনশিল্পের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

মায়াদ্বীপের চারদিকে জেগে উঠেছে একাধিক চর। অনেকে নৌকাযোগে ওই চরে ভ্রমণ করে আনন্দ উপভোগ করছেন। অনেকে মায়াদ্বীপকে নূরেরটেকের চর বলে থাকেন। কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা মেঘনা নদীবেষ্টিত। এ উপজেলার চারদিকে ঘিরে রয়েছে মেঘনার শাখা ও তার চরাঞ্চল। এ চরাঞ্চলের একটি হচ্ছে মায়াদ্বীপ খ্যাত নূরেরটেক। এর মায়াময় পরিবেশ পর্যটকদের মন কেড়েছে। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের পদধ্বনিতে মুখর হয়ে উঠেছে এলাকাটি। এ চরে গড়ে উঠেছে স্কুল, মাদরাসা, মসজিদ, বাজার ও স্যাটেলাইট ক্লিনিক। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে নদীর তলদেশ দিয়ে মায়াদ্বীপে পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ। বিদ্যুতের আলোর ঝলক আঁধার রাতে মাঝ নদী থেকে মনে হয় হাজার তারার মেলা। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ জাদুঘর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরেই অবস্থিত এ মায়াদ্বীপটি। বৈদ্যেরবাজার লঞ্চঘাট থেকে ট্রলার বা ইঞ্জিনচালিত নৌকায় স্বল্প খরচেই যাওয়া যায় এ দ্বীপে। যারা পরিবার-পরিজন নিয়ে সোনারগাঁয়ে বেড়াতে যান, তারা এখন এ মায়াদ্বীপও অল্প সময়ের জন্য হলেও ঘুরে আসেন। এ ছাড়াও মেঘনা উপজেলার রামপুর বাজার থেকে ট্রলারে এবং চন্দনপুর বাজার থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকা বা স্পিডবোটেও যাওয়া যায় মায়াদ্বীপ। কোনো দর্শনার্থী বা পর্যটক যেতে চাইলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা ব্রিজের নিচ থেকেও যেতে পারেন ট্রলারযোগে। এ দ্বীপে গাড়ির যাতায়াতের কোনো ব্যবস্থা নেই। দ্বীপের বাসিন্দা আবদুর রশিদ বলেন, এখানে ভালো মানের খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা নেই, নেই রাতযাপনের ব্যবস্থাও। তার পরেও অনেক ভ্রমণ পিপাসুই আসছেন মায়াদ্বীপ ভ্রমণে। মায়াদ্বীপটি মূলত সোনারগাঁ উপজেলা ঘেঁষে ও মেঘনা উপজেলার শেষ প্রান্তে অবস্থিত। স্থানীয়রা বলছেন দ্বীপটির বেশ কিছু অংশ সোনারগাঁ উপজেলার, অবশিষ্ট অংশ মেঘনা উপজেলায় পড়েছে। বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয়রা দ্বীপটিকে পর্যটনশিল্পের উজ্জ্বল সম্ভাবনা হিসেবে দেখছেন। ভ্রমণ বিশেষজ্ঞ কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেছেন, এ দ্বীপের আরও সৌন্দর্য বৃদ্ধি, রাতযাপনের জন্য কটেজ বা হোটেল, খাওয়া ও মায়াদ্বীপে আসার জন্য ট্রলারের পরিবর্তে লঞ্চের ব্যবস্থা এবং পর্যটকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করলে মায়াদ্বীপকে ঘিরে অনেকেরই কর্মসংস্থানসহ পর্যটনশিল্পের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের দাবি, মায়াদ্বীপকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পর্যটন এলাকা ঘোষণা করে সরকারিভাবে অবকাঠামো নির্মাণ করে তার সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি করলে আরও বেশি পর্যটক এ চরে এসে বেশি আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর