খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে ১২ জুন ভোট গ্রহণ। তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীরা প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন আরও সাত দিন। প্রচারণার খুব বেশি সময় হাতে না থাকায় জ্যৈষ্ঠের প্রখর রোদ উপেক্ষা করে ক্লান্তিহীন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন প্রার্থীরা। গতকাল সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় বিশেষ করে চাকরিজীবী ভোটারদের টার্গেট করে গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করেছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। এ সময় তারা যথারীতি উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে মন জয় করার চেষ্টা করেছেন ভোটারদের। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক গতকাল সকালে দৌলতপুর মহসিন মোড় থেকে শুরু করে ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন। পরে মহেশ্বরপাশা বাজার মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন ও সিদ্দিকিয়া মাদরাসায় সুধী সমাবেশে অংশ নেন। খুলনার ধারাবাহিক উন্নয়নে আবারও নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তালুকদার খালেক বলেন, আমরা একটা উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন করতে চাই। এবারের সিটি নির্বাচনে প্রচারণার সময় অনেক কম। দিনের বেলায় বাইরে প্রচ- গরম। তারপরও সব ভোটারের কাছে পৌঁছাতে চাই। ভোটের দিন তারা যেন ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোট দেন আমরা এ আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা চাই, চলমান প্রকল্পের কাজ শেষ করে পরিচ্ছন্ন ও আধুনিক নগরী গড়ে তুলতে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে ভোটাররা যেন সহযোগিতা করেন। অন্যদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মাওলানা আবদুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচিত হলে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার আলোকে দুর্নীতি, দূষণমুক্ত পরিকল্পিত সিটি গড়ে তুলব।
তিনি গতকাল নগরীর সদর থানার গল্লামারী বাজার, সোনাডাঙ্গা থানা বানরগাতী বাজার ও খালিশপুর থানার চিত্রালী বাজারে গণসংযোগ পথসভায় বক্তৃতা করেন।
নগরবাসীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, খুলনা আমার নিজের শহর। এর সঙ্গে আমাদের ভালো-মন্দ জড়িত। এখন আমাদের সিদ্ধান্তের ওপর খুলনার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। ১২ জুন আমাদের সঠিক ও সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এ ছাড়া জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু গতকাল নগরীর সাতরাস্তা মোড়, দিলখোলা রোড, মিস্ত্রিপাড়া বাজার, নিরালা এলাকা এবং ২৪ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ পথসভা করেন।
তিনি বলেন, কেসিসি নির্বাচনে নির্বাচনী পরিবেশ মোটেও ঠিক নেই। কালো টাকা আর পেশিশক্তির ভয়ে ভোটাররা নিরাপদে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারবেন কি না তা নিয়েও তারা চিন্তায় আছেন। তিনি খুলনার উন্নয়নে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দেওয়ার অনুরোধ জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আল জুবায়ের, নগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন ও জেলার সাধারণ সম্পাদক এম হাদিউজ্জামান।