চট্টগ্রামে অন্য সময়ের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গুর প্রভাব আগেই শুরু হয়ে গেছে। তারপরেও চসিকের মশক নিধন কার্যক্রমের নেই কোনো গতি। যদিও সংস্থাটি নানা কার্যক্রম নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। অতীতে দেখা গেছে, জুলাই মাসে ডেঙ্গুর প্রভাব বেড়ে অক্টোবর নভেম্বরে তা কমতে থাকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সেবা সংস্থাগুলোর গাফিলতি আর মশক নিধনের কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি। এ ছাড়াও ডেঙ্গু আক্রান্ত আর মৃত্যুর দিকে সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে শিশুরা। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ২২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। তার মধ্যে ৯ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশু রয়েছে ১১ জন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা আবুল হাশেম বলেন, আমরা একটি ওয়ার্ডকে চারটি ভাগে ভাগ করছি। প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডেও মশার পর্যাপ্ত ওষুধ পাঠানো হয়েছে। যে সব এলাকায় মশার ওষুধ ছিটানো হয়নি বলা হচ্ছে, তা তো হওয়ার কথা নয়। হয় তো এক পাশে ছিটিয়ে আরেক পাশে আসতে সময় লাগছে। তবে সব জায়গায় ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। জনস্বাস্থ্য অধিকার রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব ডা. সুশান্ত বড়ুয়া বলেন, অতীতের প্রবণতা হচ্ছে জুলাই থেকে ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয়ে নভেম্বর-ডিসেম্বরে গিয়ে সেটা কমেছে। অক্টোবর-নভেম্বরে সর্বোচ্চ ডেঙ্গু শনাক্ত হচ্ছে। সুতরাং এই সময়টাকে ডেঙ্গুর পিক সময় বলা যায়। এবারও সেদিকে যাচ্ছে, কারণ এখন ডেঙ্গু পরিস্থিতি উঠতির দিকে রয়েছে। পরিস্থিতি কেমন হবে সেটা বলা যাচ্ছে না। তবে সবাইকে সচেতন হতে হবে। দায়িত্বশীল সংস্থাগুলোকে তদারকি বাড়াতে হবে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে থাকতে হবে। নগরের বাদুরতলা এলাকার বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মশার প্রজননের হটস্পট ঘোষণা দিয়েছিল ৫টি ওয়ার্ডে। মশক নিধনে ক্রাশ প্রোগ্রামের কথাও বলেছে। কিন্তু এখনো মশক নিধনের ওষুধ ছিটাতে দেখিনি। সিটি করপোরেশন শুধু পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে সতর্ক করলেও মশক নিধন কার্যক্রম চোখে পড়ছে না। অথচ লোক দেখানো ড্রোন ওড়ানো আর জরিমানা করে নিজেদের দায় সেরে নিচ্ছে তারা। এদিকে গতকাল চট্টগ্রামে নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ১৪৩ জন। তার মধ্যে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছে এক শিশু। শিশুটির নাম মিশকাত (১৪)। সে বোয়ালখালী উপজেলার বাসিন্দা। গত ২০ জুলাই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিল। এ ছাড়া এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২২ জন। তার মধ্যে ১১ জনই শিশু। এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯২৩ জন। তার মধ্যে শিশু রয়েছে ৪৩২ জন।
শিরোনাম
- সিলেটে প্রভাব নেই লকডাউনের
- আইরিশদের বিপক্ষে ইনিংস জয়ের পথে টাইগাররা
- চিরিরবন্দরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির ৭৭ পরিবারের মাঝে ছাগল বিতরণ
- ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে নিরস্ত্র পুলিশ মোতায়েন জার্মানির
- মানুষ নেই, এআই দিয়ে লকডাউন পালন করছে আওয়ামী লীগ : এ্যানি
- রাজধানীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ৪৩ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
- নরসিংদীতে লকডাউনে সাড়া নেই, স্বাভাবিক জীবনযাত্রা
- রবিবার আরও ১২ দলের সঙ্গে ইসির সংলাপ
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গভীর রাতে রেললাইনে আগুন
- যুদ্ধবিরতির পরেও ২৪৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
- ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে তিনজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৮৩৩
- ক্যারিবিয়ান দেশগুলো আক্রমণে মিথ্যা নাটক সাজাচ্ছে আমেরিকা: মাদুরো
- সাংবাদিক সুভাষ সিংহের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
- টাঙ্গাইলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্লে গ্রাউন্ড স্থাপন, আনন্দমুখর শিক্ষার নতুন দিগন্ত
- সন্ধ্যায় স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিএনপি
- বগুড়া সরকারি শাহ সুলতান কলেজ ছাত্রদলের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান
- গণভোটের ব্যালটে থাকছে যে প্রশ্ন
- ছয়টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ইসির সংলাপ অনুষ্ঠিত
- যাত্রাবাড়ীতে চুরির মিথ্যা অপবাদে কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা
- ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন
ঢাকার বাইরে ভয়াবহ ডেঙ্গু পরিস্থিতি
মশক নিধনে গতি নেই, চট্টগ্রামে বেশি ঝুঁকিতে শিশুরা
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর