সারা দেশে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৪ হাজার ছাড়াল। গতকাল নতুন করে আরও আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫০৩ জন, মারা গেছেন চারজন। এ পর্যন্ত ডেঙ্গুর থাবায় প্রাণ হারিয়েছেন ২২৯ জন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৮ হাজার ৬৭৬ জন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিসূত্রে জানা যায়, গতকাল আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৯০৭ এবং ঢাকার বাইরের বাসিন্দা ৫৯৬ জন। ঢাকায় এবং বাইরে দুজন করে চারজন রোগী মারা গেছেন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৮ হাজার ৬৭৬ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৪ হাজার ৮৭০ এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩ হাজার ৮০৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ৪৪ হাজার ২০৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ২৫ হাজার ৭০৫ এবং ঢাকার বাইরে ১৮ হাজার ৫০০ জন। আক্রান্তের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৫ হাজার ৩০০ জন। ঢাকায় ২০ হাজার ৬৫৬ এবং ঢাকার বাইরে ১৪ হাজার ৬৪৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ডেঙ্গুজ্বরে মারা গেছেন ২২৯ জন। এর মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে মারা গেছেন ১৭৯ জন। প্রতিদিন ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। চলতি মাসেই আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ হাজার ২২৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬৩ দশমিক ৯ এবং নারী ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ। ডেঙ্গুজ্বরে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১২৭ জন নারী এবং ১০২ জন পুরুষ।
ঢাকার বাইরে প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্ত সংখ্যা : আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল জানান, বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গত তিন মাসে এ হাসপাতালে ছয়জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হলো। এদিকে হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর চাপ কিছুটা কমলেও সবশেষ গতকালের রিপোর্ট অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন ছিলেন ২০৭ জন রোগী।
হাসপাতালসূত্রে জানা যায়, বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার পারুল বেগম (৬০) ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ২৫ জুলাই শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে গত তিন মাসে এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছয়জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হরো।
রোগীর চাপ কিছুটা কমলেও গতকালের সবশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী বৃহস্পতিবার এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ২০৭ জন ডেঙ্গু রোগী। এর আগে বুধবার চিকিৎসাধীন ছিলেন ১৯০ জন, মঙ্গলবার ২০১ জন এবং সোমবার চিকিৎসাধীন ছিলেন মৌসুমের সর্বাধিক ২২১ জন রোগী।