শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

মোদি শাসনের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের ‘কালো পত্র’ প্রকাশ

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

বিজেপি নেতৃত্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ‘শ্বেতপত্র’ (হোয়াইট পেপার) বের করবে ঘোষণা দেওয়ায়, কংগ্রেস ‘কালো পত্র’ প্রকাশ করেছে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে গতকাল সকালে দিল্লিতে সংবাদ সম্মেলনে এ কালো পত্র প্রকাশ করেন। কালো পত্র সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, এটা তো বদনজর না লাগার জন্য দেওয়া কালো টিকা। সংবাদ সম্মেলনে খাড়গে বলেন, ‘অর্থনৈতিক উন্নতিতে মোদি সরকার একেবারেই ব্যর্থ। আজ আমরা বের করলাম ‘কালো পত্র’। যখনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংসদে তাঁর মতামত তুলে ধরেন, তিনি তাঁর ব্যর্থতা লুকিয়ে রাখেন। একই সঙ্গে সরকারের ব্যর্থতার কথা বললেও তাতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় না। তাই আমরা কালো পত্রের মাধ্যমে জনগণকে সরকারের ব্যর্থতা জানাতে চাই।’ খাড়গে জানান, ‘গত ১০ বছরে মোদির শাসনকালে বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি এবং কৃষকদের দুর্দশার বিষয়ে সরকারের ‘ব্যর্থতা’ তুলে ধরা হয়েছে এই ব্ল্যাক পেপারে। কেরালা, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটকের মতো অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে কেন্দ্রের বঞ্চনা ও দ্বিমাতৃসুলভ আচরণের ছবিও তুলে ধরা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কংগ্রেস দেশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে আর ২০২৪ সালে দেশকে বিজেপির ‘অন্যায়ের অন্ধকার’ থেকে বের করে আনবে এই কংগ্রেস।’

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে খাড়গে আরও বলেছেন, দেশে গণতন্ত্রের জন্য এক বড় বিপদ। গত ১০ বছরে কংগ্রেসের ৪১১ জন বিধায়ককে বিজেপি তাদের কবজায় নিয়ে গেছে। তারা অনেক কংগ্রেস সরকার পতন ঘটিয়েছে। এককথায় তারা গণতন্ত্রকে শেষ করে দিচ্ছে। এদিকে খাড়গের কালো পত্র প্রকাশের পরই গতকাল রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন- যদি কোনো শিশু ভালো কোনো কাজ করে, যদি কোনো শিশু একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুত হয়, সে সুন্দর পোশাক পরে। তখন পরিবারের সদস্যরা তার কপালে একটি ‘কালো টিকা’ লাগিয়ে দেয়, যাতে বদনজর না লাগে। গত ১০ বছর ধরে ভারত যেভাবে সমৃদ্ধির নতুন শিখরে আরোহণ করছে, সেখানে আমরা অশুভ নজর থেকে নিরাপদ আছি তা নিশ্চিত করার জন্য ‘কালো টিকা’ লাগানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এর জন্য আমি খাড়গেজিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’ বিজেপি নেতা এবং অর্থ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান জয়ন্ত সিনহা বুধবার বলেছিলেন, সরকার এখনো ‘শ্বেতপত্র’ প্রকাশ করতে পারেনি কিন্তু প্রস্তাবিত শ্বেতপত্রে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার সময় দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা কতটা দুর্বল ছিল তা তুলে ধরা হবে। লোকসভায় অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটের ওপর একটি বিতর্কে অংশ নিয়ে সিনহা দাবি করেন, ‘২০১৩ সালে পূর্ববর্তী ইউপিএ শাসনকালে ভারত বিশ্বের ভঙ্গুর পাঁচ অর্থনীতির দেশের তালিকায় ছিল।

 

 

সর্বশেষ খবর