গোপালগঞ্জে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানের সমর্থকরা। এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে। মারাত্মক আহত ২০ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা জানান, জালালাবাদ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এস এম মারুফ রেজা ও সাবেক চেয়ারম্যান এম সুপারুল আলম টিকের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার সকালে সাবেক চেয়ারম্যান টিকের সমর্থক হিমু মোল্যার লোকজন বর্তমান চেয়ারম্যান এস এম মারুফ রেজার সমর্থক রহমান মোল্যাকে ধাওয়া দেয়। পরে সাবেক চেয়ারম্যান আরেক সমর্থক ৩ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার সাইদুল মোল্যা ও তার ভাইসহ অন্যরা বর্তমান চেয়ারম্যানের সমর্থক স্বপন মোল্যা ও তার ছেলে সেতু মোল্যাকে কুপিয়ে আহত করে।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিকালে দুই পক্ষের সমর্থকরা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশি অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জালালাবাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এম সুপারুল আলম টিকে বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান এস এম মারুফ রেজার সমর্থকরা আমার লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জালালাবাদ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এস এম মারুফ রেজা বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান এম সুপারুল আলম টিকের উপস্থিতিতে আমার লোকজনের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আমার পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।