অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ ছয় মাসের বেশি না করাসহ ১৫ দফা প্রস্তাব ও দুই দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। গতকাল পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, অনতিবিলম্বে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় এমন সব রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পরামর্শক্রমে অনূর্ধ ১৫ সদস্য বিশিষ্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করতে হবে। যার মেয়াদ ছয় মাসের বেশি হতে পারবে না। অন্তর্বর্তী সরকারের কেউ পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। গ্রহণযোগ্য তদন্ত কমিশন ও স্বতন্ত্র ট্রাইব্যুনাল গঠন করে জুলাই গণহত্যাকান্ডের বিচার করতে হবে। একই সঙ্গে গত ১৬ বছরে সংগঠিত সব রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক হত্যাযজ্ঞ, গণহত্যা, গুম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার করতে হবে। পীর চরমোনাই বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে নিহত-আহত পরিবারকে ক্ষতিপূরণসহ পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে যে সব ব্যক্তি বা সংগঠন দোষী সাব্যস্ত হবে, তাদের রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। ইসলামী আন্দোলনের আমির আরও বলেন, দাবি আদায়ে আগামী শুক্রবার বিকাল ৩টায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে বিশাল গণজমায়েত। পর্যায়ক্রমে বিভাগ ও জেলা শহরে সমাবেশের আয়োজন করা হবে। পীর চরমোনাই বলেন, স্বৈরশাসনের অবসান হয়েছে। এখন সময় দেশ গড়ার। এখন সময় সাম্য, সামাজিক মর্যাদা ও ন্যায় বিচারভিত্তিক বাংলাদেশ নির্মাণের। দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বর ও নৃশংস আওয়ামী দুঃশাসন উৎখাতের সংগ্রামের সূচনা করেছে আমাদের গর্ব শিক্ষার্থী সমাজ। তাদের অসীম সাহস, ত্যাগ ও বুদ্ধিদীপ্ত নেতৃত্ব আমাদের গর্বিত করেছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শুরু থেকেই এ আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকেছে। ১৯ জুলাই থেকেই আমরা পরিষ্কার করে জানিয়েছি, সরকারের পদত্যাগই একমাত্র সমাধান। তিনি বলেন, সব দুর্নীতি ও টাকা পাচারের শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, বিচার বিভাগসহ প্রজাতন্ত্রের যে সব কর্মচারী আইন, সংবিধান, শপথ লঙ্ঘন করে অপেশাদার আচরণ করেছেন তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। এ সময় দলের মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।