জনসাধারণের জানমাল ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ক্যাম্প সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। শনিবার গোপালগঞ্জের সদর উপজেলার গোপীনাথপুরে বিক্ষোভকারীদের সেনা টহল দলের ওপর হামলার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) গত রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
আইএসপিআর জানায়, রবিবার নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত ইপিজেডে চাকরিপ্রত্যাশীদের বিক্ষোভকে আলোচনার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণসহ চারজন জাপানি নাগরিককে উদ্ধার করে সেনাবাহিনী। এ ছাড়া বাংলাদেশ পুলিশকে সহযোগিতার লক্ষ্যে বর্তমানে ৫৩৭টি থানায় সেনা মোতায়ন রয়েছে এবং থানার স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য হারে পুলিশ সদস্য কর্মস্থলে যোগদান করছেন, যা চলমান রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ঘটনায় লুটপাটকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ সাধারণ জনগণ সেনাবাহিনীর কাছে জমা দিচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতির ঘটনা আগের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে এবং আটককৃতদের মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে সরাসরি কারাগারে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, কয়েকটি জায়গায় অপহরণের ঘটনায় নিখোঁজ ব্যক্তিদের ফিরে পেতে সেনাবাহিনীর অভিযান চলছে। এ ছাড়া আন্দোলনে গুরুতরভাবে আহত ব্যক্তিবর্গকে সিএমএইচ, ঢাকায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দিন-রাত যৌথ টহল পরিচালিত হয়, বিশেষ করে রাত্রিকালীন যৌথ টহল জোরদার করা হয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেনা সদস্যদের কর্মকান্ড সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে সত্য-মিথ্যার সংমিশ্রণে সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সর্বসাধারণকে সব ধরনের অপপ্রচার বন্ধ করতে অনুরোধ করা যাচ্ছে। জনগণের স্বার্থে এবং রাষ্ট্রের যেকোনো প্রয়োজনে সেনাবাহিনী সবসময় জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে। সেই সঙ্গে সেনাবাহিনীকে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।