সারা দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি ও উপাসনালয়ে হামলার ঘটনা তদন্তে একটি ‘সংখ্যালঘু কমিশন’ গঠনের দাবি জানিয়েছে ‘সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন’।
গতকাল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্পত্তির ওপর হামলার বিচার এবং তাদের সম্প্রদায়ের সুরক্ষা নিশ্চিতসহ আট দফা দাবি পেশ করেন ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যাপক ড. ইউনূস তাদের আশ্বস্ত করে বলেন, তার সরকার ধর্মীয় সংখ্যালঘুসহ প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি আরও জানান, তার সরকার সংখ্যালঘুদের যে কোনো আক্রমণ এবং সহিংসতা থেকে সুরক্ষা দিতে ইতোমধ্যেই কয়েকটি ব্যবস্থা নিয়েছে। পুলিশ বাহিনী ইতোমধ্যেই আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ফিরে এসেছে এবং সারা দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। বৈঠকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিকম ও আইসিটি বিষয় উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের মাধ্যমে দীর্ঘ ১৫ বছরের স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটানো সফল ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী এই দুই উপদেষ্টাও ছাত্র-নেতৃত্বাধীন সংখালঘু অধিকার আন্দোলনকে আশ্বস্ত করে বলেন, তারা সব দাবি পূরণের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।