তিন বছর মেয়াদি (২০১৭-২০) পুকুর ও খাল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দেশজুড়ে খাল খননের পর পাড়ে গাছ লাগানো প্রকল্পে গাছ না লাগিয়েই বরাদ্দের ১৬৯ কোটি টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগের অনুসন্ধান চেয়ে হাই কোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। গতকাল হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন নরসিংদীর বাসিন্দা আরিফুর রহমান ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, ‘বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের হাই কোর্ট বেঞ্চ থেকে অনুমতি পাওয়ার পর রিটটি দায়ের করেছি। ৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে অবকাশকালীন ছুটি শুরু হচ্ছে। এ অবকাশকালীন ছুটির মধ্যে এখতিয়ারসম্পন্ন বেঞ্চে রিট আবেদনটির শুনানির চেষ্টা করব। নইলে অবকাশের পর শুনানি হবে।’
‘গাছ না লাগিয়েই ১৬৯ কোটি টাকা উত্তোলন’ শিরোনামে ৮ জুলাই একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে রিটটি করা হয়। আবেদনে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) পুকুর ও খাল উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকসহ পাঁচজনকে বিবাদী করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, তিন বছর মেয়াদি (২০১৭-২০) পুকুর ও খাল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দেশজুড়ে খাল খননের পর পাড়ে গাছ লাগানোর কথা ছিল।
তবে খাল খনন করা হলেও খালের পাড়ে গাছ না লাগিয়েই তুলে নেওয়া হয়েছে বরাদ্দের ১৬৯ কোটি টাকা। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) নিবিড় পরিবীক্ষণ প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ কথা বলা হয়েছে প্রকাশিত প্রতিবেদনে।