বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জাতীয় রাজনীতিতে পরিবর্তন আনার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যে রাজনৈতিক দল মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হবে, তার কোনো ভবিষ্যৎ নেই। আগামীর রাজনীতি আগের মতো থাকবে না। তা হবে মানুষের পরিবর্তনশীল আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদ’ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের আহ্বায়ক শেখ আবদুন নুরের সভাপতিত্বে এবং সদস্যসচিব বাবর চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান এবং জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি মোহন রায়হান।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে ১ হাজার সংস্কার করেও কোনো লাভ হবে না, যদি রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন না হয়। সংস্কারের প্রথম ধাপ হচ্ছে রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন এবং এটি অব্যাহত রাখতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব যারা পালন করছেন, তাদের এ দায়িত্ব দেওয়ার পেছনে তিনটি শক্তি কাজ করেছে। তা হচ্ছে ছাত্র-জনতার সমর্থন, রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থন এবং বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী। শেখ হাসিনার পতনের পেছনেও এ তিনটি শক্তি কাজ করেছে। সংস্কারের মাধ্যমে মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আজ ১০ মাস হয়ে গেছে। ছাত্র-জনতা, রাজনৈতিক দল এবং সামরিক বাহিনী এ তিনটি শক্তির অবস্থান এখন কোথায়? ছাত্রদের মধ্যে যারা অব্যাহতভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে যাওয়ার জন্য আন্দোলন করছে, তাদের অবস্থান কী? বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান কোথায় দাঁড়িয়ে আছে? সামরিক বাহিনীর অবস্থান কী? অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য তৈরি হয়নি। যেগুলো ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলোর বিষয়ে জাতিকে জানানো হচ্ছে না কেন? কেন সংস্কারের বিষয়ে কিছু প্রকাশ করা হচ্ছে না? আমরা যখন প্রশ্ন করেছি, তখনো একই উত্তর পাওয়া যায়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, বিচারের ক্ষেত্রে আমরা কোনো সমস্যা দেখছি না। তবে সরকার কেন আজও কাউকে বিচারের আওতায় আনতে পারেনি?
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সরকার এক যাত্রায় সবকিছু অর্জন করতে চায়। কিন্তু তা বাস্তব নয়। অনতিবিলম্বে রাজনৈতিক দল ও জনগণকে বিচার, সংস্কার এবং নির্বাচনের ব্যাপারে সরকারের আশ্বস্ত করা উচিত।