সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বাড়ি ফেরার পথে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে চালক ও সহযোগীরা মিলে এক কলেজছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় কুলিয়ারচর থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী। পুলিশ অভিযুক্ত অটোচালকসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী বরিশালের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়াশোনা করেন। তার বাড়ি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায়। বুধবার রাতে তিনি বরিশাল থেকে বিভিন্ন বাহনে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে এসে পৌঁছান। সেখান থেকে অটোরিকশায় বাড়িতে ফেরার পথে কুলিয়ারচরে ধর্ষণের শিকার হন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মেয়েটি বরিশাল থেকে কিশোরগঞ্জে বাড়িতে আসার জন্য বুধবার বেলা ২টার দিকে ঢাকার বাসে ওঠেন। রাত ৯টার দিকে ঢাকার সায়েদাবাস বাসস্ট্যান্ডে আসেন। সায়েদাবাদ থেকে বাসে ভৈরবে পৌঁছান রাত ১২টায়। ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জে যাওয়ার বাস না থাকায় তিনি একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন। সেটিতে দুই পুরুষ ও এক নারী যাত্রী ছিলেন। কিছুদূর যাওয়ার পর চালক ফোন দিয়ে তার এক সহযোগীকে গাড়িতে তুলে নেন। এরপর তারা ধর্ষণে অংশ নেয়।
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সারোয়ার জাহান জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ভৈরবের দুর্জয় মোড় থেকে সিএনজিচালক শাহ আলমকে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ভৈরবের আকবরনগর মিরেরবাগ এলাকার রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে। রাত ১টার দিকে আকবরনগর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তানভীরকে (২৩)।