শেরপুর সদর উপজেলার মুরশিদপুরে দোজা পীরের আস্তানায় (দরবার শরিফে) হামলা-ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিরাপত্তা বাহিনী (সেনা, বিজিবি, পুলিশ, র্যাব ও আনসার) পুরো এলাকা ঘিরে রেখে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। ময়মনসিংহ ৩৯ বিজিবির পরিচালক সাইফুল ইসলাম জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে যে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণে নিরাপত্তা বাহিনী প্রস্তুত। পীরের আস্তানায় হামলা চালানো হয় বৃহস্পতিবার সকালে। সেখানে অবস্থিত মসিজদেও আগুন দেওয়া হয়, চালানো হয় ভাঙচুর। দবরার শরিফের গাছগুলোয় হাজার হাজার পাখি থাকত। আগুনের ধোঁয়া, ভাঙচুরের শব্দ ও গাছ কেটে ফেলায় পাখিগুলো এখন আশ্রয়হীন হয়ে এদিকওদিক উড়ছে। পীরভক্তরা দরবার শরিফে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন। জানা গেছে, পীরের আস্তানায় হামলার ঘটনার প্রতিবাদে সুন্নতি তরিকতপন্থিরা লংমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করলে প্রতিরোধের ঘোষণা দেয় এলাকাবাসী ও মুসল্লিদের একাংশ।
এলাকাবাসী জানায়, গত মঙ্গলবার ভোরে মুরশিদপুর খাজা বদরুদ্দোজা হায়দার ওরফে দোজা পীরের দরবারে হামলা চালানো হয়। এ সময় পীরপন্থিরা প্রতিরোধ করতে এলে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৩ জন আহত হন। আহতদের শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে পীর বিরোধী হাফেজ উদ্দিন ঢাকায় হাসপাতালে মারা গেছেন। মৃত্যু সংবাদ শেরপুরে এসে পৌঁছলে বিক্ষুব্ধ পীর বিরোধীরা গত বৃহস্পতিবার হাফিজের নামাজে জানাজার আগে বেলা ১১টা থেকে ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালানো শুরু করে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকেই মুরশিদপুর দরবার শরিফের কার্যক্রম বন্ধের হুমকি দিয়ে আসছিলেন সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের জামতলা এলাকার ফারাজিয়া আল আরাবিয়া কওমি মাদরাসার সুপার তরিকুল ইসলাম এবং স্থানীয়রা।