বরিশালে ইলিশের অগ্নিমূল্যে দিশেহারা ক্রেতা। প্রতি মণ ইলিশের দাম লাখ টাকা ছাড়িয়েছে। স্থানীয় নদীতে ইলিশ কম ধরা পড়ায় দাম বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বরিশাল নগরীর পোর্ট রোড ইলিশ মোকামে গিয়ে দেখা গেছে, আগের মতো ইলিশ নেই। অল্প কিছু ইলিশ নিয়ে বিক্রির জন্য বসে আছেন বিক্রেতারা। দাম বাড়ার কারণে ক্রেতাদেরও তেমন দেখা নেই।
পোর্ট বাজারের ইলিশ বিক্রেতা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ইলিশ গভীর পানির মাছ। শীত মৌসুমে নদীতে পানি কম। তাই জেলেদের জালে কম ইলিশ ধরা পড়ছে। গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বাজারে তেমন একটা ইলিশ নিয়ে আসছেন না জেলেরা। যা-ও ধরা পড়ছে দাম অনেক বেশি। তিনি জানান, পোর্ট রোড মোকামে ৬০-৭০ মণ ইলিশ বেচাবিক্রি হয়েছে। মৌসুমে এ বাজারে প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার মণ ইলিশ বেচাবিক্রি হয়। সামনে নদীর পানি আরও কমবে। তখন ইলিশ পাওয়া যাবে না। এতে আরও দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, বাজারে দেড় কেজি সাইজের ইলিশ প্রতি মণ পাইকারিতে কিনতে হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা দরে। বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকায়। সে হিসেবে প্রতি কেজির দাম পড়েছে ১ হাজার ৩৫০ টাকা। এ ছাড়া ১ কেজি ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ পাইকারিতে ১ লাখ ২০ হাজার ও খুচরা পর্যায়ে ১ লাখ ২২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। এক কেজি সাইজের প্রতি মণ পাইকারিতে ৯৪ হাজার ও খুচরা বিক্রি হয়েছে ৯৮ হাজার টাকায়। এলসি সাইজ (৮০০-৯০০ গ্রাম) প্রতি মণ ৭২ হাজার টাকা দরে পাইকারিতে বিক্রি হয়েছে। খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৭৬ হাজার টাকা মণ। এ ছাড়া আধা কেজি ওজনের প্রতি মন ইলিশ ৫৫-৫৬ হাজার, ৪০০ গ্রাম সাইজ ৪১০-৪২ হাজার ও ৩০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ প্রতি মণ ৩৩ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
মেঘনার জেলে নাগর খান বলেন, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নদীতে জাল ফেলে মাত্র দুই হালি ইলিশ পেয়েছি। সবগুলো ৩০০ গ্রাম সাইজের। বর্তমানে নদীতে ইলিশ কম থাকায় কষ্টে দিন পার করছেন জেলেরা।