জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ইস্যুতে তিন দফা দাবিতে অনড় শিক্ষার্থীরা। সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত টানা ১০ ঘণ্টা ধরে চালিয়ে যাচ্ছেন গণ আমরণ অনশন কর্মসূচি। ইতোমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনশনে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী। গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এ গণ অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে সকাল ৮টা থেকে তিন দফা দাবিতে এ গণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এদিকে গণ অনশনে অংশ নেওয়া শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি ও দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের তিন দফা দাবির সংগঠক কে এম রাকিব এবং হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মাহফুজ নামের এক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অসুস্থ অবস্থায় প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে পুনরায় অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এ ছাড়া আরও একাধিক শিক্ষার্থীর শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া গণ অনশনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এ সময় শিক্ষক নেতারা শিক্ষার্থীদের দুপুরে খাওয়ার আহ্বান জানান। তবে শিক্ষকদের এ আহ্বান প্রত্যাহার করেছেন অনশনকারীরা। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের গণ অনশনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে অংশ নিয়েছেন শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির ও ছাত্র আন্দোলনসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন নেতা-কর্মী। গণ অনশন কর্মসূচির বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদ্দিন বলেন, তোমরা আমাদের সন্তান। তোমাদের এভাবে অনশনে রেখে আমরা শিক্ষক সমিতি বসে থাকতে পারি না। আমরা তোমাদের সব দাবির সঙ্গে একমত। তোমরা যাই কর্মসূচি দাও আমরা তোমাদের সঙ্গে আছি। কিন্তু আমরা চাই এখন তোমরা আমাদের শিক্ষক সমিতির সঙ্গে খাবার খাও। আমরা প্রশাসন থেকে আসিনি। আমরা শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে এসেছি তোমাদের সঙ্গে কথা বলতে। তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে আমরা তোমাদের সঙ্গে নিয়ে প্রশাসনের কাছে যাব। কবে কাজ হবে সেটি প্রশ্ন করব। শিক্ষার্থীরা বলেন, সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর না করা পর্যন্ত আমাদের অনশন চলবে। আমাদের কোনো আবাসন সুবিধা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অস্থায়ীভাবে আমাদের আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু এর কোনো অগ্রগতি নেই। শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নিয়ে চিঠি চালাচালি, টালবাহানা অনেক কিছু হয়েছে। এবার সেনাবাহিনীর কাছে ক্যাম্পাসের কাজ দিতেই হবে। প্রয়োজন হলে জীবন দেব, তার পরও ১৮ হাজার শিক্ষার্থীর অধিকার আদায় করব।
শিরোনাম
- ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে ভারোত্তোলনে ব্রোঞ্জ জয় বাংলাদেশের
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৯ নভেম্বর)
- ৩৭ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে সিরিজ হারল দক্ষিণ আফ্রিকা
- তারুণ্যনির্ভর নতুন বাংলাদেশ গড়তে এখনই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার সময় : নবীউল্লাহ নবী
- সমালোচনার মাঝেই শেষ হলো গামিনির বাংলাদেশ অধ্যায়
- অবশেষে মুখ খুললেন রাশমিকা, জানালেন কেন বিয়ে করছেন বিজয়কে
- ত্বকী হত্যায় জড়িত শামীম-অয়ন-আজমেরী-নিজাম: রফিউর রাব্বী
- বগুড়া আরডিএ’র নিয়োগ জালিয়াতি, জড়িতদের তথ্য পেয়েছে পুলিশ
- সংস্কৃতি মানুষকে সভ্য করে : কাদের গনি চৌধুরী
- মোবাইল আসক্তি বদলে দেবে দেহের গঠন
- ‘স্বাধীনতা রক্ষায় বিএনপিকে বিজয়ী করা ছাড়া বিকল্প নেই’
- আমরা অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই : মির্জা ফখরুল
- বিশ্বনাথে ৬ চোরাই সিএনজি উদ্ধার, ১ আটক
- ‘আঙ্গুল বাঁকা করে ঘি খাওয়া’ ’৭১ সালেই প্রত্যক্ষ করেছে জনগণ : প্রিন্স
- দিনাজপুরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শেষে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ
- সংস্কার ছাড়া জনগণের কাছে আর কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নয় : মামুনুল হক
- ২৩ মাঠ কর্মকর্তাকে বদলি করলো ইসি
- নেত্রকোনায় সীমান্তে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
- গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসতে হবে : তৃপ্তি
- দাবি না মানলে ১১ নভেম্বর কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেবে আট দল