বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলার সময় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মো. শামীমকে হত্যাচেষ্টা মামলায় শেখ হাসিনার সাবেক শিল্প, বিনিয়োগ ও বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে তারা মিয়া বেপারী নামে একজনকে।
গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আসামিদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাদের তিনজনকে রাজধানীর নিউমার্কেট থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় ৭ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক মো. ওমর ফারুক। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী ও তরিকুল ইসলাম রিমান্ড বাতিলসহ জামিন চান। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ডের জোর দাবি জানান। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে প্রত্যেকের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিকে আদালত থেকে নামার সময় জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আমাকে কারাগারে কথা বলতে দেওয়া হয় না। ১০ মিনিটিও কথা বলতে দেয় না। আমি কারাগারে বৈষম্যের শিকার। মানুষের যে মৌলিক মানবাধিকার আছে, সেটা আমার ক্ষেত্রে লঙ্ঘন করা হচ্ছে।’ পলকের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী শুনানিকালে বলেন, আড়াই মাস ধরে কারাগারে পলকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। তিনি বৈষম্যের শিকার। তাঁকে অন্তত পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি। এ সময় বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ফোনে কথা বলতে দিলে তিনি দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করতে পারেন।
নতুন মামলায় গ্রেপ্তার ৯ : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রিক রাজধানীর বিভিন্ন থানার পৃথক মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গ্রেপ্তার দেখানো অন্যরা হলেন- সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ ফারুক খান, সাবেক এমপি হাজি সেলিম ও তাঁর ছেলে সাবেক এমপি সোলাইমান সেলিম, ডিএমপির সাবেক এডিসি জুয়েল রানা ও গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর যুবলীগের সভাপতি আবদুর রউফ।