চট্টগ্রামের রাউজানে চারদিনের ব্যবধানে মো. ইব্রাহিম (২৬) নামে আরেক যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে সদর ইউনিয়নের গাজীপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে শনিবার রাতে রাউজানের বাগোয়ান ইউনিয়নের গরিবউল্লাহপাড়া গ্রামে মুহাম্মদ মানিক আবদুল্লাহ (৩৬) নামে এক যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে ১০ থেকে ১৫ জনের একদল সন্ত্রাসী ইব্রাহিমকে মাথায় গুলি করে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, রাউজানের এক শীর্ষ সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে। ইব্রাহিমের মাথার পেছনে গুলি লেগেছে। তিনি আগে ছাত্রদল করতেন। এখন হয়তো বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি বলেন, আগের খুনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা আছে কি না তা এখনো জানা যায়নি। শুনেছি দলীয় অন্তর্কোন্দলে এ ঘটনা ঘটেছে। লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেলের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আরও এক যুবক পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
এদিকে খুলনার ফুলতলা উপজেলায় সুমন মোল্লা (২৮) নামের এক ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল দুপুরে উপজেলার জামিরা পিপরাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুমন পিপরাইল গ্রামের রকিব উদ্দিন মোল্লার ছেলে। ফুলতলা বাজারে সুমনের পশুখাদ্যের দোকান রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নিহত সুমন মোল্লা মোটরসাইকেলযোগে ফুলতলা বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি জামিরা পিপরাইল নামক স্থানে পৌঁছালে তিন মোটরসাইকেল আরোহী তার গতিরোধ করে কাছ থেকে গুলি করে। এ সময় সুমন মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পাশের ধান খেতে পড়ে যায়। দুর্বৃত্তরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজে নেওয়ার পথে সুমনের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর ফুলতলা থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুজ্জামান খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, ‘নিহত সুমন একাধিক মামলার আসামি।’
কিছুদিন আগে একটি মামলায় বেশি কিছুদিন হাজতবাস শেষে জামিনে বাড়ি ফেরেন। ধারণা করা হচ্ছে, স্থানীয় দুটি পক্ষের দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বের জেরে হত্যার শিকার হয়েছে সুমন। হত্যাকারীদের আটকে অভিযানে নেমেছে পুলিশ।’