বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, কোনো ‘মহামানবকে’ বাংলাদেশের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য জনগণ আন্দোলন-সংগ্রাম করেনি। আর কোনো ‘মহামানব’ দেশের গণতন্ত্রের সমাধান দেবে তার জন্য জনগণকে অপেক্ষা করতে হবে- এটাও বিশ্বাস করার মতো কোনো কারণ নাই। গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। প্রশ্নটি ছিল- ‘আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জনগণ তাড়াতাড়ি ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা বলছে না। এ বিষয়ে আপনাদের অবস্থান কী?’
এর আগে বিকালে ন্যাপ ভাসানী, আম জনতার দল ও পিপলস পার্টির সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি বৈঠক করে। বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে বৈঠকে অংশ নেন স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। অন্যদিকে ন্যাপ ভাসানীর পক্ষে সংগঠনটির সভাপতি অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। দ্বিতীয় দফায় আম জনতা দলের সভাপতি কর্নেল (অব.) মশিউজ্জামানের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল এবং তৃতীয় দফায় বাংলাদেশ পিপলস পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নাজমা আকতারের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। তিনটি দলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সব নেতা প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন করা সম্ভব বলে মতামত ব্যক্ত করেন। এ সময় তারা যতদ্রুত সম্ভব নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ করে নির্বাচনের প্রস্তুতি কার্যক্রম শুরু করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বৈঠক শেষে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যে সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে- তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। জবাবদিহি থাকবে। সেটা যে দলের সরকারই হোক।
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা রাজনৈতিক দল হিসেবে শেখ হাসিনা ও তার সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় ছিল, তাদের মধ্যে প্রায় ৫০টি দল পরিষ্কারভাবে বলেছে আগামী ডিসেম্বরের আগে নির্বাচনের জন্য। তিনি বলেন, সংস্কারের যে কথাগুলো বলা হয়, যে সংস্কারের বিষয়ে যেখানে ঐকমত্য হয়, সেই সংস্কার ইমিডিয়েটলি করে নির্বাচন কমিশনকে বলা হোক নির্বাচনের রোডম্যাপ দিয়ে নির্বাচনের দিকে যাওয়ার জন্য।