চিকিৎসক-কর্মচারীদের সঙ্গে জুলাই গণ অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের মারামারি-সংঘর্ষের জেরে তৃতীয় দিনের মতো রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা বন্ধ রয়েছে। চিকিৎসাসেবা কখন চালু হবে, সে বিষয়ে কিছু বলতে পারছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গত বুধবার সকাল থেকে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে এ অচলাবস্থা চলছে। গতকাল হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, কোনো চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী নেই। বিভিন্ন স্থান থেকে আসা নতুন রোগীরা চিকিৎসা না পেয়ে ফেরত যাচ্ছেন। আগে যেসব রোগী এখান থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন, তাদের অনেকে ফলোআপের জন্য এসে তা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। তবে জুলাই গণ অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরা হাসপাতালে অবস্থান করছেন। চিকিৎসক-নার্সরা হাসপাতাল ছেড়ে যাওয়ার পর হাসপাতাল কোয়ার্টারে আটকে পড়েছিলেন চার পরিবারের সদস্যরা। পরে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জানে আলম বলেন, হাসপাতাল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। আতঙ্কে চিকিৎসক, নার্স কিংবা কোনো স্বাস্থ্যকর্মী হাসপাতালে যেতে পারছেন না। রোগীরাও চলে গেছেন। তবে জুলাই আন্দোলনে আহতরা এখনো অবস্থান করছেন। উদ্ধারের পর আটকে পড়া পরিবারগুলো কোয়ার্টার ছেড়ে গেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয় হাসপাতালের পরিস্থিতি জানে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় হাসপাতাল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে কবে নাগাদ সেবা চালু করা যাবে নিশ্চিত নই।’ বিভিন্ন দাবিতে গত ২৫ মে হাসপাতাল পরিচালকের কক্ষে বিষপান করেন চার আহত তরুণ। এর রেশ না ফোরাতেই ২৭ মে পরিচালক অধ্যাপক ডা. খায়ের আহমেদ চৌধুরীকে অবরুদ্ধ করে গায়ে পেট্রোল ও কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান তারা। পরদিন বুধবার চিকিৎসক-কর্মচারীদের ওপর হামলা করেন তারা। এসব ঘটনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালকের দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে তাকে সাত দিনের ছুটি দেওয়া হয়। তার স্থানে ডা. জানে আলমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।