সাপ্তাহিক বাজার করতে এসে শিউলি বেগমের চোখে ছিল ক্লান্তি আর হতাশা। হাতে ছোট দুটি ব্যাগ। একটিতে করলা, পেঁপে, লাউ, বেগুন আর কলমি শাক। আরেকটি ব্যাগে পিঁয়াজ ও আলু। তিনি দুঃখ করে বলেন, ‘১ হাজার টাকা নিয়ে বাজারে এলাম। সবজি কিনতেই সব শেষ। মাছ-মাংস কিনব কীভাবে।’ তার মতো রাজধানীর হাজারো মানুষ এখন বাজারে যাচ্ছেন দুশ্চিন্তা নিয়ে। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে বাজারে সবজির সরবরাহ কমে গেছে। তাই দাম বেড়ে গেছে দ্বিগুণের কাছাকাছি।
গতকাল মালিবাগ ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, করলা, কচুর লতি, বেগুন, ঝিঙা, ধুন্দল, কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়। পটোল, পেঁপে, ঢ্যাঁড়শ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগেও যেসব সবজি ৫০-৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছিল এখন সেগুলোর দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০-৩০ টাকা। সবজির পাশাপাশি দাম বেড়েছে ডিম ও মুরগির। ফার্মের ডিম ডজনপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৩৫ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১২৫ টাকা। ব্রয়লার মুরগি ১৬০-১৭০ টাকায় পাওয়া গেলেও সোনালি মুরগি কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে আলু ও রসুনের দাম স্বাভাবিক থাকলেও পিঁয়াজ এবং আদার দাম বেড়েছে। প্রতি কেজি আলু ২০-২৫ টাকায় আর রসুন ১২০-১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পিঁয়াজ ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। আদা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।
শহীদুল নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘বাজারে ঢুকলেই মাথা ঘোরে। ১ কেজি চাল, ১ কেজি সবজি আর এক ডজন ডিম কিনতেই ৫০০ টাকা শেষ। এরপর অন্যান্য খরচ কোথা থেকে দেব?’
মালিবাগ বাজারের সবজি বিক্রেতা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘বৃষ্টিতে জমির সবজি পচে গেছে। গাড়িও সময়মতো আসে না। পণ্য কম, তাই দাম বেশি।’