ভ্যান কিনে না দিয়ে থাপ্পড় দেওয়ায় শ্বশুরকে শ্বাসরোধে হত্যার পর কচুরিপানা ভর্তি খালে ফেলে দিয়েছে জামাতা। ঘটনার দুই দিন পর শুক্রবার দিবাগত রাতে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার খাল থেকে শ্বশুর অখিল হালদার মন্টুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ভিকটিম উপজেলার রামানন্দের আঁক গ্রামের বাসিন্দা মনিমোহন হালদারের ছেলে ও পেশায় দুধ বিক্রেতা। তাকে হত্যার কথা স্বীকার করে পুলিশ ও আদালতে স্বীকারোক্তি দেওয়া জামাতা কৃষ্ণ বাড়ৈ (২৫) একই উপজেলার বাকাই গ্রামের কানাই বাড়ৈর ছেলে। আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অলিউল ইসলাম বলেন, জামাতা কৃষ্ণ বাড়ৈকে একটি ভ্যান কিনে দেওয়ার কথা ছিল শ্বশুর অখিল হালদারের। গত ২০ আগস্ট ভ্যান কিনতে শ্বশুরকে নিয়ে বের হয়। কিন্তু ভ্যান বিক্রেতা ফোন কল রিসিভ করেনি।
তাই ভ্যান কিনতে পারেনি। এ নিয়ে ফেরার পথে শ্বশুরের সঙ্গে তর্কে জড়ায় জামাতা। একপর্যায়ে শ্বশুর জামাতা কৃষ্ণকে দুই তিনটি থাপ্পড় দেন। এতে জামাতা কৃষ্ণ ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে পাল্টা থাপ্পড় দিয়ে ফেলে দেয়। পরে বুকের ওপর উঠে শ্বাসরোধে হত্যা করে আহুতি বাটরা গ্রামের কচুরিপানা ভরা খালে ফেলে দেয়। পরে শ্বশুরের দুধের কলস ও ভ্যান নিয়ে মাদারীপুর বিক্রি করে।
শ্বশুর বাড়ি না ফেরায় জামাতা কৃষ্ণকে বিষয়টি জানানো হয়। কিন্তু রাতে শ্বশুর বাড়ি না গিয়ে সকালে যায়। সেখানে যাওয়ার পর তার অসংলগ্ন কথায় সবার সন্দেহ হয়। পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শ্বশুর নিখোঁজের আগে তার ফোন ও জামাতা কৃষ্ণ বাড়ৈর ফোনের লোকেশন একই স্থানে দেখতে পায়।
এ ছাড়াও ডাসার থানার পাথুরিয়ারপাড় এলাকার একটি দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে নিহত অখিল হালদারের দুধের কলসসহ জামাতাকে ভ্যান চালিয়ে মাদারীপুরের দিকে যেতে দেখেন।
তখন জামাই কৃষ্ণ বাড়ৈকে নিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে নিজেই একা শ্বশুরকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। কৃষ্ণের দেখানো স্থান থেকে শ্বশুরের অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।