ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়িত হলে একটি বাফার জোন গঠনের পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, ওয়াশিংটন ওই বাফার জোনের নেতৃত্বে থাকলেও সেখানে ন্যাটোবহির্ভূত দেশ থেকে সেনা পাঠানো হতে পারে। এর মধ্যে সৌদি আরব ও বাংলাদেশের নাম উল্লেখ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি। যুদ্ধবিরতি চুক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চারজন মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে শুক্রবার এনবিসি এ খবর প্রকাশ করেছে।
আর বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই বাফার জোন ইউক্রেনকে রাশিয়ার ভবিষ্যৎ হামলা থেকে সুরক্ষা দেবে। অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য সেখানে বিদেশি সেনাদের মোতায়েনের বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র নিজে ইউক্রেনে সেনা পাঠাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে। প্রকাশ্যে এখনো খুব কম দেশই যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলে ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এনবিসি বলছে, ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে কিংবা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনকে আলোচনায় আনতে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হতাশ হচ্ছেন। গত মাসে আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পরও কোনো ইতিবাচক বার্তা আসেনি।
এদিকে, বিশ্বের ২৬টি দেশ ইউক্রেনে সেনা পাঠাতে প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনে অস্ত্রবিরতির পরদিনই দেশটিতে স্থল, নৌ বা আকাশপথে সেনা পাঠাতে ২৬টি পশ্চিমা মিত্রদেশ আনুষ্ঠানিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গত বৃহস্পতিবার ৩৫ দেশের অংশগ্রহণে আয়োজিত এক বৈঠক শেষে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ এ ঘোষণা দেন। এ বৈঠককে বলা হচ্ছে ‘কোয়ালিশন অব দ্য উইলিং’। ম্যাক্রোঁ জানান, এ উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনও কয়েক দিনের মধ্যে চূড়ান্ত হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য ইঙ্গিত দিয়েছেন, ওয়াশিংটনের সহায়তা সম্ভবত আকাশ প্রতিরক্ষার আকারে আসতে পারে। এ নিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও তার সঙ্গে কথা বলেছেন এবং ‘ইউক্রেনের আকাশসীমার সর্বোচ্চ সুরক্ষা’ চেয়েছেন। তবে ইউক্রেনের সুরক্ষা নিশ্চিতে সেনা পাঠাতে ইচ্ছুক দেশগুলোকে সতর্কবার্তা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, কোনো দেশ যদি ইউক্রেনের পক্ষে সেনা পাঠায়, তাহলে সেসব সেনাদের ‘বৈধ লক্ষ্যবস্তু’ হিসেবে বিবেচনা করবে রুশ বাহিনী। গত শুক্রবার রাশিয়ার দূর পূর্বাঞ্চলীয় শহর ভ্লাদিভস্তকে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভ্লাদিমির পুতিন।