লন্ডনে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর হামলা চেষ্টার নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে সরকারের তরফ থেকে বলা হয়, কয়েক সপ্তাহ আগে নিউইয়র্কে সরকারি কাজে থাকাকালীন মাহফুজ আলমের ওপর হামলার পর এবার লন্ডনেও এ ঘটনা ঘটল। অন্তর্বর্তী সরকার এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১২ সেপ্টেম্বর মাহফুজ আলম সোয়াস ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনে চব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছরপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় একদল বিক্ষোভকারী বাংলাদেশ হাইকমিশনের গাড়িতে ডিম ছুড়ে মারেন এবং কিছুক্ষণের জন্য তাদের পথ আটকে দেওয়ার চেষ্টা করেন। লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ তাৎক্ষণিক তাদের নিবৃত্ত করে। হামলার সময় মাহফুজ আলম গাড়িতে ছিলেন না। বাংলাদেশ হাইকমিশন জানায়, পুলিশ তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখেছিল এবং উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের একটি অনুষ্ঠানে বিক্ষোভকারীরা ডিম (এবং কয়েকজনের বর্ণনা অনুযায়ী বোতল) ছুড়ে মারে ও কাচের দরজা ভেঙে দেয়; পরবর্তীতে মিশনের পক্ষ থেকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, যার মধ্যে স্টেট ডিপার্টমেন্টের স্থানীয় অফিসও রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম প্রকাশ্যে এই হয়রানি চেষ্টার নিন্দা জানিয়েছিলেন। বাংলাদেশের জনগণ এবং দুই দেশের কর্তৃপক্ষ সভ্যতা ও মূল্যবোধের পক্ষে অবস্থান করলেও এ ধরনের হামলার ঘটনায় সম্পৃক্ত দুর্বৃত্তরা বর্বরতা ও সহিংসতার জগতে বাস করছে। গণতন্ত্রে এমন কোনো আচরণের স্থান নেই যেখানে যুক্তির বদলে আক্রমণ এবং তর্ক-বিতর্কের পরিবর্তে সন্ত্রাসকে বেছে নেওয়া হয়।