হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার নেপথ্য কারণ অনুসন্ধানে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য তুরস্কে গেছে কিছু নমুনা। বাংলাদেশে আসা তুরস্কের বিশেষজ্ঞ দল ফেরার সময় নমুনাগুলো নিয়ে গেছে। আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। গতকাল সচিবালয়ে তদন্ত কমিটির সভা শেষে দুর্যোগব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম ও স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গণি এসব অবহিত করেছেন সাংবাদিকদের। উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের কারণ দ্রুত উদ্ঘাটনে সহায়তার জন্য তুরস্ক থেকে বিশেষজ্ঞ একটি তদন্ত দল এসেছিল। তারা তাদের তদন্ত কাজ শেষ করেছে এবং ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য তারা কিছু গুরুত্বপূর্ণ নমুনা নিয়ে গেছেন। নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট দ্রুতই পাওয়া যাবে এবং অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হবে। ‘বিমানবন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এজন্য তদন্ত কমিটির মেয়াদ ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
তদন্ত কমিটির প্রধান নাসিমুল গনি জানান, তদন্ত কমিটি আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ‘নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা, তা এখনই বলা যাবে না। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। বিমানবন্দরে অস্ত্র চুরি হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ওখানে কিছু স্যাম্পল ছিল। সেটা প্রচণ্ড তাপে বের হয়ে গিয়েছিল। অনেক সময় স্যাম্পলগুলো তারা রিলিজ করে দেয়। সমস্যাটা এত জটিল যে, ওখানে কী কী মালামাল ছিল আমাদের পুরো তালিকাটা জোগাড় করতে হয়েছে। এর মধ্যে কতটুকু কাস্টমস রিলিজ করেছে এবং এরা বাই নেমে আমাদের কাছে চলে আসতেছে আপনারা সার্টিফিকেট দেন আগুন লেগেছিল। সেটার জন্য তো নির্দিষ্ট অথরিটি আছে। তিনি বলেন, ফলে এটা নিশ্চিত করে বলা যাবে না যে, এই জিনিসগুলো (অস্ত্র চুরি) হয়েছে। সেটা আরেকটু পরে বলা যাবে। অস্ত্র যেগুলোর কথা বলা হচ্ছে, এর মধ্যে আমরা যেটুকু জানি, অনেক ফার্ম থেকে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় যে, আমরা পিস্তল কিনব।
দুর্যোগব্যবস্থাপনা ত্রাণ উপদেষ্টা বলেন, আমাদের অন্যান্য কেপিআইগুলোতে (গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা) যেন এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা যায়, সেজন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে। যেসব মন্ত্রণালয়ের অধীনে এসব কেপিআই রয়েছে তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা স্থাপনাগুলো পরিদর্শন করেছেন। সেসব জায়গায় যেটুকু নিরাপত্তা ঘাটতি আছে সেগুলো তারা খতিয়ে দেখছেন এবং সে অনুযায়ী উদ্যোগ নিচ্ছেন। গত ১৯ অক্টোবর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কার্গো ভিলেজসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় অগ্নিকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে সভা করে আন্তমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটি।