সাগর থেকে মাছ ধরে ফেরার পথে তিনটি ট্রলারসহ ১৬ জন বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি। মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানান টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালী বোট মালিক সমিতির সভাপতি সাজেদ আহমেদ।
সাজেদ আহমেদ জানান, সেন্ট মার্টিনের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় আরাকান আর্মি টেকনাফ পৌরসভার কলেজপাড়া এলাকার বাসিন্দা জাকিরের মালিকানাধীন একটি ট্রলারসহ ছয়জন রোহিঙ্গা যুবককে আটক করে নিয়ে যায়। তিনি আরও জানান, আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা বাকি দুটি ট্রলারের ১০ জন বাংলাদেশি জেলের আটকের কথা শোনা গেলেও তাদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
ট্রলার মালিক জাকির হোসেন বলেন, আমার ট্রলার নিয়ে গত ১৫ নভেম্বর আবদুর করিম মাঝিসহ ছয় জেলে সাগরে মাছ শিকারে যান। সর্বশেষ মঙ্গলবার সকালে টেকনাফে ঘাটে ফেরার পথে সেন্ট মার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপের আগে ধাওয়া করে ট্রলারসহ জেলেদের ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ট্রলারসহ কিছু জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। এ ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, মিয়ানমার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, বাংলাদেশি মাছ ধরার নৌকার অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে আরাকান কোস্টাল সিকিউরিটি প্যাট্রল নিয়মিত টহল পরিচালনা করছে। ১৮ নভেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে মংডু টাউনশিপের থাওয়াইং চাউং গ্রামের পশ্চিম উপকূল থেকে প্রায় ২.৭ কিলোমিটার দূরে অভিযান চালিয়ে একটি ট্রলারসহ ছয় বাংলাদেশি জেলেকে আটক করে নিরাপত্তা বাহিনী। ট্রলার থেকে জাল, বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও বাংলাদেশি মুদ্রা জব্দ করা হয়। অন্যদিকে, একই দিনে রাথেডং টাউনশিপ উপকূল থেকে প্রায় ৩.৫৮ কিলোমিটার দূরে অভিযান চালিয়ে আরও দুটি ট্রলারসহ ১০ জেলেকে আটক করা হয়। এসব ট্রলারে থাকা জাল, মাছ ও অন্যান্য মালামাল জব্দ করা হয়। মোট তিনটি ট্রলার ও ১৬ জন জেলেকে আটক করে জব্দকৃত মালামালসহ তাদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আরাকান অঞ্চলের আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।