শিরোনাম
২৩ মে, ২০১৯ ০৯:০১

উচ্ছ্বাস করার পর চুপ হয়ে গেছেন মোদি!

অনলাইন ডেস্ক

উচ্ছ্বাস করার পর চুপ হয়ে গেছেন মোদি!

নরেন্দ্র মোদি

আজ ২৩ মে, ঘোষণা করা হবে ভারতে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল। এরই মধ্যে এই ফলাফল ঘোষণাকে ঘিরে দেশজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

সম্প্রতি নির্বাচনের বুথফেরত সমীক্ষায় বিজেপির জয়ের আভাস পাওয়া গেছে। জরিপের ফলাফলে বলা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে এনডিএ সরকার গঠিত হবে।

জরিপের এমন ফলাফল প্রকাশের পর উচ্ছ্বাস করেছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি প্রধান অমিত শাহ।

তবে ভোটের আগ মুহূর্তে সেই উচ্ছ্বাসে রাশ টেনেছেন বিজেপি নেতারা। একেবারেই চুপ গেছেন নরেন্দ্র মোদি।


আজ চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা হচ্ছে। তাই এ নিয়ে আর কথা বলতে চান না বিজেপি নেতারা। বুথফেরত সমীক্ষা শেষ অঙ্ক নয়। এটি একটি ইঙ্গিত। 

তবে ওই সমীক্ষার ফলাফলকে বিজেপিরই অনেক নেতার বিশ্বাস হচ্ছে না! 

এই নেতাদের মধ্যে একজন নিতিন গড়কড়ী। অনেক দিন ধরেই পরোক্ষভাবে তিনি নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহদের সমালোচনা করে আসছিলেন। যা দেখে অনেকেই মনে করেন, বিজেপির সংখ্যা কম হলে মোদির বদলে তিনিই প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার। বুধবার আরএসএসের শীর্ষ নেতা ভাইয়াজি জোশীর সঙ্গে নাগপুরে তার বৈঠক হয়। তাতেও ফের জল্পনা চড়েছে। তা হলে কি ভবিষ্যতের কোনও রণকৌশল তৈরি হচ্ছে? প্রধানমন্ত্রীর দাবি পেশের জন্য না কি দলের পরবর্তী সভাপতি হওয়ার জন্য?

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং সুষমা স্বরাজ বুধবার দিল্লিতে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন। পরে তারা অসুস্থ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিকে দেখতে যান। জেটলি ব্লগ লিখে দলের হয়ে প্রশ্ন করলেও মুখ খোলেননি রাজনাথ-সুষমা। 

বুধবার দিনভর চুপ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ মোদি, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহও।

যদিও আজ অবশ্য বিদায়ী সরকারের মন্ত্রী, এনডিএ’র শরিকদের নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। শাহের ঘনিষ্ঠ এক নেতা বলেন, “সভাপতি যা বলার ২৩ মে আসল ফলের পরেই বলবেন।”

 ঘরোয়া মহলে অবশ্য দলের অনেক নেতাই এখনও পুরোপুরি আশ্বস্ত নন। তাদের অনেকেই মনে করছেন, বাস্তব যা পরিস্থিতি, তাতে তিনশো পার করা কঠিন। সে ক্ষেত্রে যদি সরকার গড়ার জন্যও আরও শরিক প্রয়োজন হয়? সে কারণে এখন থেকেই আগ বাড়িয়ে উত্তেজনা দেখানো ঠিক নয়। যেসব সমীক্ষা এনডিএ-কে তিনশো পার করিয়েছে, তাদের অনেকে আবার আসন-বিন্যাস দেখানো বন্ধ করেছে। হিসেবে গরমিল আসতেও শুরু করেছে। ফলে বিজেপি দফতরে সাজগোজ শুরু হলেও, নেতাদের উচ্ছ্বাস দেখাতে বারণ করা হয়েছে। 

বুধবার সকাল থেকে বিজেপির কিছু নেতা প্রচার করা শুরু করেন যে রাহুল গাঁন্ধী ফের লন্ডনে গেছেন। তাদেরও হল্লা করতে নিষেধ করা হয়। পরে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাহুল দিল্লিতেই আছেন। 

তবে বুথফেরত সমীক্ষা নিয়ে ফের ব্লগ লিখেছেন অরুণ জেটলি। এই সমীক্ষার ফল যে তিন দিন পর মিলতে পারে, তাল ঠুকে তেমনটি বলতে না পারলেও একে ঢাল করে গাঁন্ধী পরিবার থেকে বিরোধীদের এক হাত নিয়েছেন তিনি।

জেটলির যুক্তি, “যখন অনেক বুথ-ফেরত সমীক্ষা একই বার্তা দেয়, আসল ফলও সেই দিকেই এগোয়। যদি এই সমীক্ষার সঙ্গে আসল ফল মিলে যায়, তা হলে ইভিএম নিয়ে বিরোধীরা যে ভুয়া প্রচার চালাচ্ছিল, সেটা অসার বলে প্রমাণিত হবে। পরিবারতান্ত্রিক দল, জাতিগত দল, বাধা তৈরি করা বামেরা ২০১৪ সালেও ধাক্কা খেয়েছে, এবারও তাই হবে।”

এরপরই গাঁন্ধী পরিবারকে আক্রমণ করে বলেন, “কংগ্রেসের প্রথম পরিবার আর সম্পদ নয়। পরিবার ছাড়া তারা ভিড় জোটাতে পারেন না। তারা আর পরিবার দিয়ে ভোট আনতে পারেন না।”


কংগ্রেস নেতা শশী তারুর অবশ্য বলেছেন, ‘সদ্য অস্ট্রেলিয়ায় বুথফেরত সমীক্ষার ফল মেলেনি। আমরা ২৩ তারিখের জন্য অপেক্ষা করব।”

আম আদমি পার্টির সঞ্জয় সিংহ বলেন, “যে উত্তরাখণ্ডে আমরা ভোটেও লড়িনি, সেখানেও আমাদের দলকে ৩% ভোট দেওয়া হয়েছে। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, এসব সমীক্ষার কোনও মূল্যই নেই।”

সূত্র: আনন্দবাজার

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর