২৪ মে, ২০১৯ ১২:২৪

যেভাবে ইতিহাসের দোরগোড়ায় মোদি ও বিজেপি

অনলাইন ডেস্ক

যেভাবে ইতিহাসের দোরগোড়ায় মোদি ও বিজেপি

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২৯৯ আসনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি। এগিয়ে আছে আরও ৪টি আসনে। একক সংখ্যা গরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ২৭২ আসন।

প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, ২০১৪ সালের তুলনায় ১০ গুণ বেশি আসনে জয় পেয়েছে বিজেপি।

অকংগ্রেসি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদিই প্রথম, যিনি পরপর দুবার পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় আসছেন। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি ক্ষমতায় আসে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে।

১৯৮৪ সালে রাজীব গান্ধীর কংগ্রেস একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে ক্ষমতায় আসার পর প্রথমবার এ ঘটনা ঘটেছিল।

২০১৯ সালে যা দেখা যাচ্ছে, জওহরলাল নেহেরুর কংগ্রসের মতই মোদির বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে।

দেখা যাচ্ছে, দেশজুড়ে বিজেপির ভোট শেয়ারে ঢেউ উঠেছে, যা প্রায় অবিশ্বাস্য।

২০১৪ সালের তুলনায় যেসব রাজ্যে বিজেপি বেশি ভোট পেয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে গুজরাট, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, কর্নাটক, মধ্য প্রদেশ, দিল্লি, ওড়িশা, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গ।

দেশের অন্যত্র, বিজেপির বিরোধীরা আর দাবি করতে পারবে না যে বিজেপি শুধুমাত্র সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোট পেয়েছে। দশটিরও বেশি রাজ্যে বিজেপি ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির বেড়েছে বহুগণে। ২০১৪ সালে এ রাজ্যে বিজেপি জয় পেয়েছিল মাত্র দুটি আসনে। এবার জয় পেয়েছে ১৮টি আসনে। কংগ্রেস এ রাজ্যে পেয়েছে ২টি আসন।

রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস মধ্য প্রদেশে একটি আসনে জয় পেয়েছে এবং রাজস্থানে তারা শূন্য। এ দুই রাজ্যে মাত্র চার মাস আগে বিধানসভা ভোটে জিতেছে তারা। ছত্তিসগড়ে কেবলমাত্র বস্তার এবং মহাসমুন্দে জয় পেয়েছে শতাব্দীপ্রাচীন দলটি।

কংগ্রেসের একমাত্র সুসংবাদ পাঞ্জাব এবং কেরালা। কেরালায় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ ১৫টি আসন পেয়েছে। একমাত্র এ রাজ্যেই দলীয় নেতৃত্বের হিসাব মিলেছে। তাদের বক্তব্য ছিল রাহুল গান্ধী ওয়েনাড় থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে ভাল ফল করবে কংগ্রেস।

তবে আমেথিতে স্মৃতি ইরানির কাছে হেরে গেছেন রাহুল গান্ধী। তার আস্থাভাজন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (গুণা), দীপেন্দর হুডা (রোহতক), গৌরব গগৈ (কালিয়াবুর্গ), সুস্মিতা দেব (শিলচর)- সকলেই হেরে গেছেন।

কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা তথা বিদায়ী লোকসভায় কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী ভুপিন্দর হুডা, মধ্য প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এম বীরাপ্পা মইলি সকলেই নিজ নিজ কেন্দ্রে হেরে গেছেন।

বামেদের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। জাতীয় স্তরে তাদের আসন পাঁচের বেশি পেরোবে না বলেই মনে হচ্ছে। 

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর