ট্রেনকে ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার চলার উপযোগী করে গড়ে তোলা হচ্ছে। ভারতে ঘণ্টায় ১৬৭ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানো হয়। এই ব্যবস্থা বাংলাদেশেও করা হবে। তখন চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যেতে সময় লাগবে মাত্র দুই ঘণ্টা।
শনিবার দুপুরে রেলওয়ে অফিসার্স ক্লাবে রেল পরিবারের এক পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এসব কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, রেলওয়ের আলাদা পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী আছে। আছে রেলওয়ে হাসপাতাল ও রেল কর্মকর্তাদের জন্য বাসাবাড়ি। আলাদা যোগাযোগব্যবস্থা এবং পরিবহন ব্যবস্থাও আছে। সে হিসেবে রেল মন্ত্রণালয় হল অনেকটা সরকারের ভেতর আরেকটা সরকার। এক সময় দেশের প্রধান পরিবহন ব্যবস্থা ছিল রেল ও নৌপথ। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সময় হানাদার বাহিনী এসব যোগাযোগ ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে অনেক রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শহীদ হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করার পর আবারও রেলব্যবস্থা আগের মতো ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন।
তিনি বলেন, ১৭ কোটি মানুষের দেশে রেলওয়েতে লোকবল আছে মাত্র ২৭ হাজার। অথচ কম হলেও এই সংখ্যক লোকের জন্য দেড় লাখ লোকবল প্রয়োজন। আমরা ধীরে ধীরে এ সংকট দূর করবো।
রেল সুহৃদ পরিষদের সভাপতি মাজহারুল হক শাহ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহা-ব্যবস্থাপক নাসির উদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত মহা-ব্যবস্থাপক সরদার শাহাদাত হোসেনসহ কর্মকর্তারা।
বিডি প্রতিদিন/ফারুক তাহের/এ মজুমদার