বাংলাদেশ গরুর মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলে দাবি করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, এক সময় গরু আমদানি করে কোরবানির ঈদের চাহিদা পূরণ করা হতো। সরকারের গৃহীত বিশেষ উদ্যোগের কারণে আজ বাংলাদেশ গরুর মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এখন আর কোরবানির জন্য গরু আমদানি করতে হয় না।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে যদি চীন থেকে পিয়াজ আমদানি বন্ধও হয়ে যায়, তবুও দেশে পিয়াজের বাজারে প্রভাব পড়বে না।
এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দীন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিদেশ থেকে প্রায় ২ হাজার মেট্রিক টন পিয়াজ আসছে। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ আমদানি হচ্ছে মিয়ানমার থেকে। পাকিস্তান থেকে আসছে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। এছাড়া তুরস্ক থেকেও আসছে, আর চীন থেকে খুব কম পরিমাণ আসছে। সুতরাং চীন থেকে পিয়াজ আনা বন্ধ হয়ে গেলেও সমস্যা হবে না।
টিপু মুনশি বলেন, পিয়াজ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। পিয়াজ আমদানির ওপর নির্ভরশীল না থেকে চাহিদা মোতাবেক উৎপাদন করে এ সমস্যার সমাধান করা হবে। এ ছাড়া পিয়াজের উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করা গেলে কৃষকরা পিয়াজ উৎপাদনে উৎসাহিত হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশের চাহিদা মিটিয়ে পিয়াজ রফতানি করা সম্ভব হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পিয়াজ নিয়ে যাতে কেউ কারসাজি করতে না পারে, সে বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত