পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) নকশা লঙ্ঘন করে সড়ক নির্মাণ দুঃখজনক। জরিমানা করে এর ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে পাহাড় কেটে নির্মিত চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ-ফৌজদারহাট সংযোগ সড়ক পরিদর্শন শেষে তিনি একথা বলেন। এর আগে মন্ত্রী নগরীর বাটালি পাহাড় এবং মতিঝর্ণা এলাকায় পাহাড় কেটে গড়ে তোলা বসতি পরিদর্শন করেন। তিন স্থান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক একেএম রফিক আহম্মদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসাইন ও সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী শামস বিন হাসান।
পরিবেশ মন্ত্রী শাহাবউদ্দিন বলেন, ‘সকালে চট্টগ্রাম এসে পাহাড় কাটার বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেছি। যেভাবে পাহাড় কাটা হচ্ছে এটা দুঃখজনক। এটা বন্ধ করতে হবে। এজন্য জনসচেতনতা দরকার। পাহাড় কাটলে কি পরিমাণ পরিবেশের ক্ষতি হবে তা তুলে ধরতে হবে মিডিয়াকে। যেভাবে পাহাড় কাটা হয়েছে, জরিমানা করে এর ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।’
পরিবেশের ক্ষতিপূরণ ১০ কোটি টাকায় সমাধান হতে পারে কিনা- এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ হওয়ার নয়। এটি টাকার অঙ্কের কোনো বিষয় না, মানুষের যানমালের বিষয়। কাজেই আমি মনে করি, রাস্তাটি পরিকল্পনা অনুযায়ী করলে যানমালের কোনো ক্ষতি হতো না। পাহাড়ে স্লোপ রাখার প্রয়োজন আছে বলেই নকশাতে তা রাখা হয়েছে। কিন্তু পাহাড় কাটার সময় স্লোপ রাখা হয়নি।’
প্রসঙ্গত, নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত সড়ক নির্মাণে অনুমোদনের অতিরিক্ত পাহাড় কাটার দায়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (সিডিএ) ১০ কোটি ৩৮ লাখ ৬৯ হাজার টাকা জরিমানা করে পরিবেশ অধিদপ্তর। ১৯৯৭ সালে প্রকল্পটি প্রথম গ্রহণ করা হলে প্রাথমিকভাবে প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩৩ কোটি টাকা। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর একনেক সভায় অনুমোদিত হয় এ প্রকল্প। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয় ২০১৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। যার ব্যয় বাড়িয়ে ধরা হয় ৩২০ কোটি টাকা।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার/রেজা মুজাম্মেল