তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আমাদের দেশে যদি নেতিবাচক রাজনীতি না থাকতো, তাহলে গত ১১ বছরে দেশ আরও বহুদূর এগিয়ে যেতো। গতকালও বিএনপির পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি বিদেশি রাষ্ট্রদূত-কূটনীতিকদের সঙ্গে বসে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে নালিশ উপস্থাপন করা হয়েছে। ভোট দিলো বাংলাদেশের মানুষ, ভোট হলো ঢাকা শহরে। যদি কোনো নালিশ থাকে তাহলে ঢাকা শহরের ভোটার এবং দেশের মানুষের কাছে নালিশ দিতে হবে। কথায় কথায় বিদেশিদের কাছে গিয়ে ধর্না দেওয়া দেশ এবং জাতিকে অপমান করার নামান্তর। তারা ক্রমাগতভাবে বিদেশিদের কাছে ছুটে দেশ-জাতি এবং ঢাকা শহরের ভোটারদের অপমান ও খাটো করছে।’
সোমবার বিকেলে নগরের এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম চত্বরে বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) আয়োজন এবং চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত বইমেলা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামশুদ্দোহা, বক্তব্য রাখেন চসিক প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়–য়া, কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, বইমেলার যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলম নিপু। উপস্থিত ছিলেন চসিকের সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, আবিদা আজাদ প্রমুখ।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘চট্টগ্রাম বাণিজ্যিক রাজধানী। ৭০ লাখের বেশি মানুষ। এই চট্টগ্রামে একটি পরিপূর্ণ বইমেলার অভাব ছিলো। বিক্ষিপ্ত বইমেলা হতো। চসিক সম্মিলিত বইমেলা আয়োজন করেছে। যান্ত্রিকতার যুগ চলছে। মঙ্গলে মনুষ্যবিহীন যান পাঠাচ্ছে। সামনে রোবট পাঠাবে। প্রযুক্তির উৎকর্ষের পাশাপাশি মানুষ যন্ত্রে রূপান্তরিত হচ্ছে। আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে। মানুষ যাতে মানুষ থাকে, মানবিক গুণাবলি অক্ষুন্ন থাকে, সে জন্য বইয়ের বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, ‘অনেক অভিভাবক বই না দিয়ে সন্তানকে স্মার্ট ফোন তুলে দেন। স্মার্ট ফ্যামিলি দেখানোর জন্য ১২ বছরের সন্তানের হাতেও স্মার্ট ফোন তুলে দিচ্ছে। আজকের পৃথিবীর বাস্তবতায় মানবিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য বই পড়ার বিকল্প নেই।’
চসিক মেয়র বলেন, ‘১৯ দিনব্যাপী এ বইমেলা আজ শুরু হয়েছে। এখান থেকে পাঠকরা পছন্দের বই সংগ্রহ করতে পারবেন। ঢাকার মত চট্টগ্রামের বইমেলাকেও পরিপূর্ণ মেলায় পরিণত করা হয়েছে। বইমেলায় গত বছরের চেয়ে কলেবর বেড়েছে। আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান জিমনেসিয়ামে নিয়ে আসা হয়েছে। এতে ৬০টি স্টল বৃদ্ধি করা গেছে। বই হচ্ছে ভালো বন্ধু, তাই মা, বাবা, শিশু-কিশোর সবাইকে বইমেলায় আসতে হবে।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার/রেজা মুজাম্মেল