স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সংসদে জানিয়েছেন, বর্তমানে কারাগারগুলোতে বন্দি ধারণ ক্ষমতা ৪০ হাজার ৯৪৪। তবে কারাবন্দির সংখ্যা ৮৮ হাজার ৮৪ জন। দেশের কারাগারগুলোতে বর্তমানে ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণেরও বেশি বন্দি রয়েছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশনে সোমবার টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে দিদারুল আলমের (চট্টগ্রাম-৪) প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান আরো জানান, কারাগারের ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সরকার নবনির্মিত ৫টি কারাগারকে কারাগার-১ এবং পুরাতন কারাগারকে কারাগার-২ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এছাড়া নতুন কারাগার নির্মাণ এবং পুরাতন কারাগার সম্প্রসারণ ও নতুন ভবন তৈরি করেও বন্দি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
মহিলা এমপি শামসুন নাহারের লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ বিশ্বে ১১৯তম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম দেশ হিসেবে ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন করেছে। বিদ্যমান মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ও ই-পাসপোর্ট যুগপৎভাবে চলমান রয়েছে। বর্তমানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঢাকার তিনটি পাসপোর্ট থেকে ই-পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। আগামী ১৮ মাসের মধ্যে সকল অফিসে এটা চালু হবে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সব মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ই-পাসপোর্টে রূপান্তর করা হবে।
সরকার দলীয় সদস্য এম আবদুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১) প্রশ্নের লিখিত জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ভয়ঙ্কর ইয়াবার থাবা সর্বাত্মক প্রতিরোধে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ২০১৯ সালে এক লাখ ৭১ হাজার ৭৫২ জন মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এক লাখ ৩০ হাজার ৬৮১টি মামলা দায়ের করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। নতুন আইনে মাদক ব্যবসার নেপথ্যে ভূমিকা পালনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। তিনি আরো জানান, মিয়ানমারের ইয়াবা পাচারকারীরা বাংলাদেশকে একটি রুট হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। আগামী ১৩ মার্চ মিয়ানমারের কাছে চতুর্থ বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। উক্ত বৈঠকে ভয়ঙ্কর ইয়াবার থাবা থেকে রক্ষা পেতে ফলপ্রসূ আলোচনা করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
মহিলা এমপি বেগম সুলতানা নাদিরার প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ মাদক উৎপাদনকারী দেশ না হলেও ভৌগলিক কারণে মাদক সমস্যার কবলে পড়েছে। ইয়াবা প্রবেশ করে মিয়ানমার থেকে। আর ভারত থেকে গাঁজা, ফেন্সিডিল, হেরোইন ও ইনজেক্টিং ড্রাগ প্রবেশ করে।
সরকার দলীয় অপর সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরনের প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী জানান, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি তিন পার্বত্য জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নকল্পে এবং কেউ-ই যাতে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজী করে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে না পারে সে লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল