পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, “আমরা সবাই মুজিব হবো, মুজিব হত্যার বদলা নিবো, এক মুজিবের রক্ত থেকে লক্ষ মুজিব জন্ম নিবে।”
তিনি বলেন, এই স্লোগানকে বুকে ধারণ করে আমরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রাজপথ প্রকম্পিত করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে দেশ আজ সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে একটি বিশ্বমানের বাসযোগ্য দেশে পরিণত হচ্ছে। তার নেতৃত্বে দেশ আজ বিশ্বের মর্যাদার আসনে আসীন। আমরা নিজেকে সবসময় ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে পরিচয় দিতে গৌরবান্বিত মনে করি। কারণ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রশ্নে শেখ হাসিনার কর্মীরা কখনো আপোস করে না।
এনামুল হক শামীম আরও বলেন, আগামী নির্বাচনেও ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীদেরকে যে যার অবস্থান থেকে কাজ করে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে পঞ্চমবারের মতো ক্ষমতায় আনতে হবে। তাইলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা পূরিপূর্ণ রূপে একটি বিশ্বমানের বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে।
সোমবার ঢাকার একটি রেস্তোরাঁয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীবৃন্দের ইফতার মাহফিল পূর্বক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীরা দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ একটি শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়েছে। ছাত্রলীগের অসংখ্য নেতাকর্মী নিজের জীবনকে অকাতরে উৎসর্গ করেছেন। স্বাধীনতা পরবর্তীতে ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের পরে প্রথমে খুনি মোশতাক সরকার এবং পরে জিয়াউর রহমান, এরশাদ ও খালেদা জিয়ার শাসনামলেও জেল-জুলুম-হুলিয়ার শিকার হয়ে অগণিত ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীকে কারাবরণ, দেশত্যাগ, অমানবিক নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছে। যা পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে নেই।
এনামুল হক শামীম বলেন, ছাত্রলীগের যে ত্যাগ, যে অর্জন তা অন্য কারো নেই। ছাত্রলীগের ইতিহাস ছাত্রলীগই। সাবেক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের নিজস্ব মেধা ও কর্মের মাধ্যমে আজকে সমাজের বিভিন্ন স্তরে সুপ্রতিষ্ঠিত। আজকে ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন দৃঢ়তা, সততা নিষ্ঠা এবং সাহসিকতার সঙ্গে। আজকের এইদিনে এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার, “আমরা ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীরা, আগামীতেও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী করার লক্ষ্যে কাজ করে যাবো।”
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও বর্তমান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আনোয়ার হোসেন, শাহাবুদ্দিন ফরাজী, আমিনুল ইসলাম আমিন, গোলাম রাব্বানী চিনু, শামসুন্নাহার চাঁপা, বাহাদুর বেপারী, অজয় কর খোকন, লিয়াকত সিকদার, নজরুল ইসলাম বাবু, আফজালুর রহমান বাবু, মারুফা আক্তার পপি, দেলোয়ার হোসেন, বদিউজ্জামান সোহাগ প্রমুখ।
এতে ছাত্রলীগের অসংখ্য সাবেক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করে। ইফতার মাহফিল পরিণত হয় মিলনমেলায়। সবাই একে অপরকে দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়ে। একজন অপরজনকে জড়িয়ে ধরে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন