পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, ‘পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা প্রশাসন ও কৃষিবিভাগ তথা সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণেই বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছে হাওরবাসী। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিয়মিত এই ব্যাপারে খোঁজখবর নেন। আমি, প্রতিমন্ত্রী, সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিয়মিত ওই এলাকা পরিদর্শন করেছি। আমি তিনদিন সেখানে থেকেও কাজ করেছি।’
আজ শুক্রবার সকালে শরীয়তপুরের নড়িয়া-জাজিরার পদ্মার ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
উপমন্ত্রী বলেন, ‘সেখানকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আর হাওরের সমস্যা স্থায়ীভাবে সমাধানের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। জননেত্রী শেখ হাসিনা মানুষের মুখে হাঁসি ফোটানোর জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘২ লাখ ২২ হাজার ৮০৫ হেক্টর আয়তনের হাওর রয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ৭৬৫ হেক্টর হাওরের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পার্শ্ববর্তী ভারতের মেঘালয়, চেরাপুঞ্জিসহ কয়েকটি এলাকায় রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছিল। সেখানে ১,২০৯ মিলিলিটার বৃষ্টিপাত হয়। আর ওই বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হাওরের ৫ হাজার ৭৬৫ হেক্টর এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতির পরিমাণ ২ শতাংশ। হাওরে ফসলের ৯০% কৃষকরা ঘরে তুলেছেন। বাকিটা অতিদ্রুতই শেষ হবে।’
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীর বাসযোগ্য বিশ্বমানের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ডেল্টাপ্লান-২১০০ বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছেন। আর এই মহাপরিকল্পনার ৮০ ভাগ কাজই পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে। এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে সারাদেশে নদীভাঙন ও জলাবদ্ধতার কোনো সমস্যাই থাকবে না। এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে’,- বলেন উপমন্ত্রী।
পরিদর্শনে তার সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফরিদপুর অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হেকিম, শরীয়তপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবীব, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপ কমিটির সদস্য জহির সিকদার প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ