মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, সংবিধান অনুসারে দেশ চলবে। নির্বাচন দেশী বা বিদেশী কোন ব্যক্তি বা প্রভূর ইচ্ছায় হবে না, সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় এ দেশে নির্বাচন হবে। কারণ রাষ্ট্রের মালিক হচ্ছেন জনগণ। জনগণ হচ্ছে সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী, অন্য কেউ নয়। তাই জনগণের ইচ্ছায় রাষ্ট্র পরিচালিত হবে এবং সংবিধান অনুসারে প্রতি ৫ বছর পর পর জনগণ তাদের প্রতিনিধিদের নির্বাচিত করবেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই আভাস দিয়েছে, হয়তো অল্প সময়ের মধ্যেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে। নির্বাচনের ব্যাপারে সরকারের কোন ভূমিকা নেই। সম্পূর্ণভাবে নির্বাচন কমিশন সেটা পরিচালনা করে এবং তাদের নিয়ন্ত্রণে নির্বাচন পরিচালিত হবে। আমরা আশা করি নির্বাচন কমিশন যখন যেভাবে তারিখ ঘোষণা করবে, সেভাবেই দেশের নির্বাচন হবে এবং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে যাতে নির্বাচন হয়-যার প্রতিশ্রুতি সংবিধান দিয়েছে। আমাদের সরকারও দৃঢ়ভাবে মনে করে সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষভাবে মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। যারা বাধা সৃষ্টি করতে চান, যারা মানুষের ভোটাধিকার যাতে প্রয়োগ করতে না পারে, তাতে অন্তরায় সৃষ্টি করতে চান, অতীতেও তারা চেষ্টা করে দেখেছে তারা ব্যর্থ হয়েছেন। আশা করি অতীতের মতো এবারও তারা চেষ্টা চালাচ্ছেন সেটাও অবশ্যই ব্যর্থ হবে।
রবিবার দুপুরে গাজীপুর শহরের মারিয়ালী এলাকায় নবনির্মিত গাজীপুর রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্রমূলক কাজ করে গতকাল একজন আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যকে হত্যা করেছে। কেউ এদেশে এখন আর আইনের উর্ধ্বে নয়। কথা দিলাম, এটার বিচার ত্বরিত হবে। তিনি বলেন, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। রাজনীতি গণতন্ত্রের একটা অংশ। রাজনীতিতে অনেক কথা, দেশের মানুষের কল্যাণের কথা দেশের মানুষের উন্নয়নের কথা বলতে কারো বাধা নেই। কিন্তু রাজনীতির নামে যদি সহিংসতা করা হয় তাহলে আমরা আইনশৃংখলা বাহিনীদের বলব এটার ব্যবস্থা নিতে, এটা স্পষ্ট।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য শামসুর নাহার, নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক উম্মে কুলসুম, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম।
এর আগে অতিথিবৃন্দ ফিতা কেটে ও ফলক উন্মোচন করে নবনির্মিত রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেন।
উল্লেখ্য, ৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে গাজীপুর রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সটি নির্মাণ করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন