বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দুষ্কৃতকারীদের চিহ্নিত করে সেনাবাহিনীর কাছে তুলে দিন।
তিনি বলেন, আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। অনেক দুষ্কৃতকারীরা বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে পাড়া মহল্লায় বাসা বাড়ি কলকারখানা ভাঙচুর করছে নানা ধরনের অপতৎপরতা চালাচ্ছে। গণতন্ত্রের এই অর্জনকে বিনষ্ট করার জন্য নানা তৎপরতা চালাচ্ছে। বিভিন্ন মসজিদ মন্দিরে হামলা চালানোর চেষ্টা করছে। এই অপতৎপরতা কারীদের চিহ্নিত করে সেনাবাহিনীর কাছে তুলে দিতে হবে।
শনিবার বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় সামনে প্রধান বিচারপতির অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, যে গণতন্ত্রের জন্য আমাদের লড়াই। মুক্ত কণ্ঠে কথা বলার জন্য আমাদের যে লড়াই, আত্মত্যাগ সেই আত্মত্যাগ আমাদের সার্থক হবে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে। গণতন্ত্রের মহীয়সী নারী, গণতন্ত্রের প্রতীক, যিনি বারবার আঘাত সহ্য করেও মৃত্যু শয্যায় থেকেও গণতন্ত্রের লড়াইয়ে জনগণকে আশ্বস্ত করেছেন। সেই নেত্রী আজ মুক্তি পেয়েছে। আমরা যার জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করছি আমাদের সেই নেতা তারেক রহমান যার নামে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজা দিয়েছে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত ছিল জাতীয়তাবাদকে ধ্বংস করার কিন্তু পারেনি। এখন আমাদের নেতা দেশনায়ক তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
এসময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডক্টর আসাদুজ্জামান রিপন ড. আসাদুজ্জামান রিপন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি রফিকুল আলম মজনু, উত্তরের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশ ঘিরে দলটির নেতাকর্মীরা ব্যপক শোডাউন করেছে। ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানাও ওয়ার্ড থেকে বিপুল সংখ্যক বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এতে যোগ দেন। ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক সাইফুল আলম নিরব সদস্য সচিব আমিনুল হক, দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন, যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, সাবেক যুবনেতা এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতা নবী উল্লাহ নবী, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, আতাউর রহমান, ইউনুস মৃধা, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এজিএম শামসুল হক, হাজী মোস্তফা জামান, ঢাকা মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য এডভোকেট মকবুল হোসেন সরদার, শহিদুল ইসলাম বাবুল, হাজী ইউসুফ, আলাউদ্দিন সরকার টিপু, কাউন্সিলর আলী আকবর, সোহেল রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মো. সুমন ভূইয়া, সদস্য সচিব বদরুল আলম সবুজ, শ্রমিক দল উত্তরের আহ্বায়ক শাহ আলম রাজা সদস্য সচিব কামরুজ্জামান, ঢাকা মহানগর যুবদলের শরীফ উদ্দিন জুয়েল, সাজ্জাদুল মেরাজ, খন্দকার এনামুল হক ঢাকা মহানগর মিরপুর থানা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী আব্দুল মতিন সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হাজী দেলোয়ার হোসেন দুলু, উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপি নেতা আব্দুস ছালাম, তুরাগ থানা বিএনপির আহ্বায়ক আমানুল্লাহ ভূইয়া, উত্তরখান থানা বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম খান (মেম্বার), তেজগাঁও থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিরাজ উদ্দিন হায়দার আরজু, দক্ষিণখান থানা বিএনপির আহ্বায়ক মোতালেব হোসেন রতন, যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান মো. নাজিম উদ্দীন, বিমানবন্দর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলু, মহিউদ্দিন তারেক, মিজানুর রহমান সবুজ, উত্তরাপূর্ব থানার যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম খান, মোহাম্মদপুর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এস আহমাদ আলী, পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক কামাল হুসাইন খান যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ গাজী, সবুজবাগ থানা বিএনপির আশরাফুল রহিম, শেরে বাংলা নগর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহজালাল সিকদার, যাএাবাড়ী থানার ৪৮নং ওয়ার্ডের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান ভান্ডারী, বিএনপি নেতা আলমগীর হোসেন, আনোয়ার হোসেন সরদার, ওয়ারী থানা বিএনপির ৩৮নং ওয়ার্ড সভাপতি অ্যাড. মাহফুজুর রহমান মনা সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক শহীদ, ভাটারা থানা যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম মিয়া ও ৪০নং ওয়ার্ড সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম হাতি, ৩০নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সালাম হাওলাদার সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বিশ্বাসসহ ঢাকা মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত