কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বিএনপির অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় সাবেক যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী, বিসিবি চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান পাপনকে প্রধান আসামি করে ১৪০ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ আগস্ট) স্থানীয় বিএনপি কর্মী ও ব্যবসায়ী আলম সরকার বাদী হয়ে ভৈরব থানায় মামলাটি দায়ের করেন। আলম সরকার ভৈরব পৌর শহরের কমলপুর এলাকার আরব মিয়ার ছেলে।
মামলায় পাপন ছাড়াও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য যাদেরকে আসামি করা হয়েছে তারা হলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের এপিএস ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মোল্লা সাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক শেফায়েত উল্লাহ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মিজানুর রহমান কবির, যুগ্ম সম্পাদক খলিলুর রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম বাকী বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আতিক আহমেদ সৌরভ, যুবলীগ নেতা ইমন, আল আজাদ, আরমান উল্লাহ, আল আমিন সৈকত, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবদুল হেকিম রায়হান, সাধারণ সম্পাদক জামাল, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিব রায়হান, আওয়ামী লীগ নেতা মির্জা সুলাইমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমির হামজা প্রমুখ।
বাদী আলম সরকার মামলার অভিযোগে বলেন, গত ১৯ জুলাই তৎকালীন আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্রদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সাবেক যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপনের নির্দেশে আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে দাঁ, ছুরি, পাইপগান, শটগান, লাঠি, লোহার রড, হকিস্টিক, লোহার পাইপ, ককটেল, পেট্রোলবোমা ইত্যাদি মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমের ভৈরবস্থ বাংলো যা উপজেলা বিএনপির অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হয় তা ভাঙচুর করে। এতে অফিসের ৫ লাখ টাকার ক্ষতিসহ আনুমানিক ১৫ লাখ টাকা মূল্যের জিনিষপত্র লুটপাট করে আসামিরা। ঘটনার সময় কয়েকজন বিএনপি নেতাকর্মী বাধা দিতে গিয়ে আহত হন।
ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ