বন্যার্তদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনে সমন্বিত পদক্ষেপ না নিলে জনদুর্ভোগ প্রকট হবে বলে মনে করে এবি পার্টি। বন্যাদুর্গত জেলাসমূহে উদ্ধার তৎপরতা, মানবিক সাহায্য বিতরণ ও ত্রাণ তৎপরতা শেষে বানভাসিদের জন্য কাজ করা টিমগুলোর অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণ নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ মূল্যায়ন তুলে ধরে আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) নেতৃবৃন্দ।
এতে পার্টির পক্ষ থেকে দুর্গত এলাকায় সহায়তা ও উদ্ধার তৎপরতা নিয়ে অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জুসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব এবিএম খালিদ হাসান ও মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন।
এসময় মঞ্জু বলেন, সেনাবাহিনী, রাজনৈতিক দল, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র স্বেচ্ছাসেবকসহ সকলের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে পর্যাপ্ত খাদ্য সামগ্রী থাকার পরও যাথাযথ স্থানে সেগুলো পৌঁছাচ্ছে না। বন্যার্তদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনে এখন দরকার সমন্বিত পদক্ষেপ। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, এনজিও, পুলিশ ও সেনাবাহিনী, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীসহ সবাই যদি সমন্বয় করে কাজ করে তাহলে এত বড় ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব। যদি সেটা না করা হয় তাহলে জনদুর্ভোগ প্রকট হবে এবং জনঅসন্তোষ তৈরি হবে।
সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লার বন্যা পরিস্থিতি তুলে ধরেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভূঁইয়া, লক্ষীপুরের পরিস্থিতি তুলে ধরেন যুবপার্টির আহবায়ক শাহাদাতুল্লাহ টুটুল। সাংবাদিকদের সার্বিক অবস্থা নিয়ে কথা বলেন, এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক বিএম নাজমুল হক, পরে সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন শেষ করেন উদ্ধার, সহায়তা ও পুনর্বাসন টিমের সমন্বয়ক লে. কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন ।
বিএম নাজমুল হক বলেন, আমরা এবার সাধারণ মানুষ ও ছাত্রদের মাঝে দুর্গত মানুষের জন্য এগিয়ে আসার যে স্পৃহা দেখেছি, এই দেশপ্রেম ও ঐক্য যদি আমরা অব্যাহত রাখতে পারি তাহলে নতুন এক দেশ গড়তে পারবো ইনশাআল্লাহ।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক