বিএনপি নেতা নবীউল্লাহ নবী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন প্রতিনিয়ত। এ ধারাবাহিকতায় যাত্রাবাড়ীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ জিসানের পরিবারের সঙ্গে গতকাল শুক্রবার তিনি সাক্ষাৎ করেন এবং সমবেদনা জানান। এসময় এক হৃদয় বিদারক অবস্থার সৃষ্টি হয়। শহীদ জিসানের পরিবারের করুণ কাহিনী শুনে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি নবীউল্লাহ নবী।
নবীউল্লাহ নবী বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বিএনপিকর্মী জিসান ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের দুঃখগাঁথা যেন সিনেমার ট্রাজেডিকেও হার মানায়। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শুরু থেকেই ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন জিসান। তবে ২০ জুলাই বিকালে ছাত্র-জনতাকে পানি বিতরণকালে পুলিশের গুলিতে নির্মম মৃত্যু হয় জিসানের। প্রায় ১৪ মাস আগে বিয়ে করা জিসানের এমন অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারেনি তার পরিবার। এমনকি জিসানের হত্যাকাণ্ড সইতে না পেরে এক সপ্তাহ পর আত্মহত্যা করেন তার স্ত্রী।’
নবীউল্লাহ নবী আরও বলেন, ‘স্বৈরাচার সরকারের এই হত্যাযজ্ঞের ক্ষত জাতি কখনোই সারিয়ে উঠতে পারবে না। আমাদের যাত্রাবাড়ীকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করা হয়েছিল। শতাধিক মানুষ শহীদ হয়েছেন। তাঁদের এই আত্মত্যাগ দেশের প্রতিটি মানুষের মনে গেঁথে থাকবে। তাদের এই মহান ত্যাগ বিফলে যায়নি। তাদের প্রাণের বিনিময়ে নতুন স্বাধীনতা পেয়েছে জাতি, স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে দেশ।’
এ সময় শহীদ জিসানের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আর্থিক অনুদান দেন নবীউল্লাহ নবী। উল্লেখ্য, মা-বাবার একমাত্র সন্তান ছিলেন জিসান। তার এমন মৃত্যু ও তার শোকাহত স্ত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় ভেঙে পড়েছে পুরো পরিবার। জিসানের মা-বাবা ও স্থানীয় এলাকাবাসী এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/শআ