ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে নিহত যুবদল কর্মী নয়ন মিয়ার (২৬) জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার বাদ আসর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
শহীদ যুবদল কর্মী নয়ন মিয়ার মাগফেরাত কামনা করে যুবদল সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে গুম-খুন-হত্যার মধ্যদিয়ে একদলীয় শাসনকে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। তারা বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। সরকার বাকশাল কায়েমের জন্য গুলি চালিয়ে অসংখ্যা ছাত্রদের হত্যা করেছে।
তিনি বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পতন আন্দোলনে হাসিনা সরকারের পেটুয়া পুলিশ বাহিনীর গুলিতে নয়ন মিয়ার প্রাণ গেছে। আমাদের অনেক ভাইয়ের প্রাণ গেছে, রক্ত ঝরেছে। এই রক্ত কখনো বৃথা যেতে পারে না, তার আত্মত্যাগ আমাদেরকে আরও শক্তিশালী করেছে।
এসময় যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলে অনেকেই নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। অনেকেই দেশে থাকতে পারেনি ফ্যাসিবাদী হাসিনার কারণে। কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলে বিএনপি নেতা কর্মীদের সর্বপ্রথমে গ্রেফতার-নির্যাতন করা হয়েছে। তাদের ওপর কারাগারে অমানবিক অত্যাচার-নির্যাতন করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। আওয়ামী লীগ গুম-খুন, ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল।
উল্লেখ্য, শহীদ মোহাম্মদ নয়ন মিয়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আওতাধীন কলাবাগান থানার ১৬ নং ওয়ার্ড কর্মী ছিলেন। হাসিনা পতন আন্দোলনে, হাসিনা সরকারের পেটুয়া পুলিশ বাহিনীর গুলিতে ৪ আগস্ট রাজধানীর কাঠালবাগান এলাকায় তিনি আহত হয়। পরে শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউতে) ৪৮ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি শাহাদতবরণ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল কবীর পল, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন তারেক, কামরুজ্জামান জুয়েল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক এনাম, দফতর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল, সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ ফিরোজ আব্দুল্লাহ, আবু আতিক আল হাসান মিন্টু, গিয়াস উদ্দিন মামুন, রুহুল ইসলাম মনি, সুমন দেওয়ান, এস এম জাহাঙ্গীর চায়না, আশরাফুল আলম ফকির লিংকন, মিজানুর রহমান সুমন প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত