বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জীবনী নিয়ে নিয়ে ‘খালেদা জিয়া: এ বায়োগ্রাফি অব ডেমোক্রেসি’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন হয়েছে।
বুধবার রাতে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ইংরেজিতে গ্রন্থটি লিখেছেন প্রফেসর কাজী কাইয়ুম শিশির।
গ্রন্থটির আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন ও গ্রন্থের ওপর আলোচনা করেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ এস এম আব্দুল হালিমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মুহাম্মদ জমির উদ্দিন সরকার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের সাবেক বিচারপতি জয়নুল আবেদিন ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক কামাল উদ্দিন সবুজ।
বিশেষ বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব প্রফেসর ড. খালেকুজ্জামান। আরও বক্তব্য রাখেন- নাট্যব্যক্তিত্ব আজিজ আহমেদ ও প্রফেসর আতাউর রহমান প্রমুখ।
সাবেক অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মুহাম্মদ জমির উদ্দিন সরকার বলেন, “ডেমোক্রেসির যে একটা বায়োগ্রাফি আছে, সেটাই এই বইটা। বইটির লেখককে তিনি এ জন্য ধন্যবাদ জানান।”
তিনি বলেন, “আমার রাজনৈতিক জীবন প্রমোট করেছেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। বিএনপির শুরুতে আমাকে স্থায়ী কমিটির সদস্য করেছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়া, এখনও সেই পদে আছি। জিয়াউর রহমানই এ জাতির পরিচয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন, সবার সাথে আলোচনা করে তিনি জাতীয়তা বাংলাদেশি ঠিক করেছিলেন। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেখলেন, ফারাক্কার বাঁধের কারণে পানি নেই। তখন তিনি বললেন, ভারতের সাথে তো পানি নিয়ে যুদ্ধ করা সম্ভব নয়, বরং সেচ চাষের জন্য খাল কেটে পানি ধরে রাখো। সবাই জিয়াউর রহমানের খাল কাটা কার্যক্রম দেখছেন।”
লেখককে ধন্যবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের সাবেক বিচারপতি জয়নুল আবেদিন বলেন, “বইটিতে সুন্দর করে বেগম খালেদা জিয়ার জীবন বৃত্তান্ত তুলে ধরেছেন লেখক। গেল ১৫ বছর আমাকে মূক ও বধির করে রাখা হয়েছিল। বইটি প্রশংসিত, অনেক অজানা তথ্য এই বইটিতে রয়েছে।”
তিনি বলেন, “এদেশের রাজনীতিতে যদি লোভ দূর করা যেত, তবে দেশের গণতন্ত্র ও মানুষ অনেক দূর এগিয়ে যেতেন। এ জন্য প্রত্যেকের লোভ পরিহার করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের যে স্বপ্ন আইনের শাসন, ন্যায় বিচার ও সাম্য বাংলাদেশ সেটি প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। জনগণের ক্ষমতা শুধু ভোট দেয়া অথবা নির্বাচনের দিনই নয়, সবসময় জনগণ ক্ষমতাবান, এটাই চর্চা আনা প্রয়োজন। সংবিধান কাটা-ছেঁড়া করে নিজেদের যা প্রয়োজন তাই করেছে গেল সরকার। এটা তাদের স্বেচ্ছাচারিতা। বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও মান যাচাই করা হতো না, মুখ দেখে, কে কী করে, সেটি থেকে বিচারক নিয়োগ দেওয়া হতো।”
পাশের দেশ ভারত এখনও আমাদের ওপর প্রভুত্ব পরিচালনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বইটি নিয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে বক্তারা বলেন, এই বইটিতে এমন কিছু আছে যেগুলো আগামী প্রজন্ম যেন জানতে ও শিখতে পারে সে বিষয়টি মাথায় নিয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড তাদের দশম- একাদশ শ্রেণির পাঠ্য বইয়ে যোগ করতে পারে। এই প্রজন্ম জানে না দেশের গণতন্ত্র উদ্ধার ও বেগম খালেদা জিয়ার জীবন বৃত্তান্ত। কীভাবে তিনি রাজনীতিতে আসলেন, কী করেছেন।
এছাড়া বইটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পেশাজীবী উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/একেএ