ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় রাজশাহী মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার-ডিআইজিসহ ২২১ জনের নামে মামলা হয়েছে। মামলায় ২১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাজশাহী মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন রাজশাহীর পবা উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে মারুফ মর্তুজা।
আদালতের বিচারক ফয়সল তারেক মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে অভিযুক্ত করা হয়েছে, রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) তৎকালীন কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, রেঞ্জ ডিআইজি আনিসুর রহমান, অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক, বোয়ালিয়া জোনের ডিসি বিভ‚তি ভ‚ষণ ব্যানার্জি, আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের এডিসি উৎপল কুমার চৌধুরী, ডিবির তৎকালীন ওসি মশিয়ার রহমান, বোয়ালিয়া থানার ওসি হুমায়ুন কবির, পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম, কর্ণহার থানার ওসি কমল কুমার দেব, কাটাখালীর ওসি তৌহিদুর রহমান, বোয়ালিয়া থানার এসআই কিংকর, এয়ারপোর্ট থানার এসআই আবদুর রহিম, রাজপাড়া থানার এসআই কাজল নন্দী, বোয়ালিয়া থানার এসআই ইফতেখায়ের আলম, কাটাখালী থানার কনস্টেবল ফুলবাস, বোয়ালিয়ার কনস্টেবল আশরাফুল, রাজপাড়ার এসআই মানিক, এএসআই মানিক, এএসআই প্রণব, কর্ণহারের এএসআই তসলিম ও এএসআই সিরাজের নাম আছে। মামলায় অজ্ঞাত আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ৫ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তালাইমারী মোড় থেকে মারুফ মুর্তজা প্রায় দুই হাজার ছাত্র-জনতার সঙ্গে পশ্চিমে শহরের দিকে রওনা দেন। দুপুর সোয়া ১টার দিকে বোয়ালিয়া থানা এলাকার পৌঁছালে আরএমপির কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদারের নির্দেশে অন্যান্য আসামিরা গুলি ও ককটেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। এতে করে মারুফ মুর্তজাসহ আরও অনেকে আহত হন। এ সময় দুটি গুলি তার পায়ে এসে লাগে। পরে উপস্থিত ছাত্র-জনতা মারুফ মুর্তজাসহ অন্যান্য আহতদের নওদাপাড়ায় অবস্থিত ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। মারুফ চিকিৎসা শেষে আসামিদের নাম সংগ্রহ করে থানায় মামলা করতে গেলে ডিউটি অফিসার আদালতে মামলার পরামর্শ দেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল
