ছানাটির বয়স মাত্র আড়াই মাস। নাম দেওয়া হয়েছে রাশিয়ান সম্রাট জারের নামে। ওজন কেজি পাঁচেক। তাকে ঘিরেই চিড়িয়াখানায় যত কৌতুহল। সবাই কোলে তুলে আদর করছেন। না, বেড়াতে আসা কেউ নয়। ব্যস্ত চিড়িয়াখানার কর্মীরাই। কেউ ফিডিং বোতলে দুধ খাওয়াচ্ছেন। কেউ বা যত্ন করে শুইয়ে দিচ্ছেন বিছানায়। তবে শুধু ছোট বলেই যে সে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু তা কিন্তু নয়। আসলে ছানাটির বাবা সিংহ, আর মা বাঘিনী। এ কারণেই তার এত কদর।
বাঘ ও সিংহের মিলনেই তার জন্ম। বিরল প্রজাতির এই লাইগারকে (Lion+Tiger=LIGER) নিয়েই তাই মত্ততা রাশিয়ার এক চিড়িয়াখানায়। লাইগারের সংখ্যা পৃথিবীতে বেশি নয়, আছে মাত্র ২০ টি।
ছানাটির মা ও বাবা থাকত পাশাপাশি খাঁচাতেই। মাঝে মধ্যেই মেজাজ হারাত বাঘিনী প্রিন্সেস। চিড়িয়াখানার কর্মীরা তাকে শান্ত করতে দ্বারস্থ হত সিংহ সিজারের। তাদের মধ্যে গল্পগুজব হত। শান্ত হত বাঘিনী। দেখে শুনে আরও একধাপ পদক্ষেপ নেন চিড়িয়াখানার কর্মীরা। পাশাপাশি খাঁচার দেওয়ালের বাধা খানিকটা কমিয়ে দেওয়া হয়। অতঃপর প্রেম। কয়েকদিন পরই খবর আসে বাঘিনী সন্তানসম্ভবা। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ যারপরনাই খুশি। শুধু বাঘ ও সিংহ দম্পতি হয়েছে বলেই নয়। তাদের সঙ্গমে যে ছানার জন্ম হবে সে হবে বিরল প্রজাতির। যথাসময়ে তিনটি ছানার জন্ম দেয় বাঘিনী। তবে বাঁচে মাত্র একটাই। আর তাই গোটা চিড়িয়াখানার চোখের মণি এক লাইগারটিই।
ঠাণ্ডার কারণে এখনও তাকে খাঁচায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না। আর তাই কর্মীদের কাছে কাছেই সে থাকছে সর্বক্ষণ।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ