গর্ভের ভ্রুণে সমস্যা দেখা দেখায় মায়ের গর্ভ থেকে বের করে ওই ভ্রুণের অপারেশন করা হয়। এরপর আবার তা মায়ের গর্ভেই রেখে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশ্যে আনা হয়েছে বিরল এই অস্ত্রোপচারের ঘটনা। খবর বিবিসির।
খবরে বলা হয়েছে, এসেক্সের বিথান সিম্পসনের গর্ভে থাকা ভ্রূণের বয়স যখন ২০ সপ্তাহ, তখন পরীক্ষায় ধরা পড়ে তার মস্তিষ্কের গঠন ঠিকমতো হচ্ছে না। এরপরই গর্ভবতী বিথানকে ইংল্যান্ডের এসেক্সের ব্রুমফিল্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সেখানকার চিকিৎসকেরা জানান, গর্ভস্থ ভ্রূণটি জটিল স্নায়ুরোগের শিকার, যার নাম ‘স্পাইনা বিফিডা’। ভ্রূণের স্নায়ুনালি (নিউরাল টিউব) থেকে ভবিষ্যতে সুষুম্নাকাণ্ড (স্পাইনাল কর্ড) এবং মস্তিষ্ক তৈরি হয়। ‘স্পাইনা বিফিডা’ থাকলে স্নায়ুনালির গঠন ঠিকমতো হয় না। তাই সুষুম্নাকাণ্ড ও মস্তিষ্কের বৃদ্ধিও যথাযথ হয় না। এর ফলে জন্মের পর সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যেতে পারে শিশুটি।
ব্রুমফিল্ড হাসপাতালের চিকিৎসকেরা সিম্পসন দম্পতিকে জানিয়ে দেন, হয় ভ্রূণটিকে নষ্ট করে ফেলতে হবে নয়তো ওই স্নায়ুনালির অস্ত্রোপচার করতে হবে। বিথান গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট করতে চাননি। ভ্রূণের বয়স যখন ২৪ সপ্তাহ, লন্ডনের গ্রেট অরমন্ড স্ট্রিট হাসপাতালে ভর্তি হন বিথান। ব্রিটেন এবং বেলজিয়ামের একদল সার্জন বিথানের গর্ভ থেকে ভ্রূণটিকে বার করে নিয়ে আসেন। তার পরে সেটিকে কৃত্রিম ভাবে বাঁচিয়ে রেখে অস্ত্রোপচার করে আবার গর্ভে রাখা হয়।
বর্তমানে গর্ভস্থ ভ্রূণের বয়স ৮ মাস। তবে বিথানই প্রথম নন, ব্রুমফিল্ড হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এসেক্সের ওই মহিলা ব্রিটেনের চতুর্থ মা, যার গর্ভস্থ ভ্রূণের এই অস্ত্রোপচার হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল