আধুনিক যুগে দাঁড়িয়েও কুসংস্কারের বলি হলো মেয়ে শিশু। সাপে কামড়ানোর পর নাবালিকাকে হাসপাতালে নয়, ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেই ওঝার বিরুদ্ধে ঝাড়ফুঁক করে শিশুকে কলার ভেলায় ভাসানোর নিদান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার রাতে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার গোসাবা থানার ছোট মোল্লাখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫ নম্বর কালিদাসপুর গ্রামে।
মেয়ে বেঁচে উঠবে, এই আশায় তাকে কলার ভেলায় ভাসিয়ে দেন তার বাবা। খবর পেয়ে সারসা নদী থেকে ওই শিশুর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার গোসাবা থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত শিশুর নাম পূজা মৃধা, বয়স ১০ বছর। তার মৃত্যুতে অভিযুক্ত ওঝার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। পরিবারের লোকেদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, ঘটনার তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই ওঝা বলেছিলেন, নদীতে কলার ভেলায় ভাসালে নাকি মৃত মেয়ে প্রাণ ফিরে পাবে। সেই কথা শুনে কলার ভেলায় মেয়েকে ভাসিয়ে দেন তার বাবা দীপ মৃধা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার রাতে বাবার সঙ্গে ঘুমিয়েছিল পূজা। রাত পৌনে ১১টা নাগাদ ঘুমন্ত অবস্থাতেই সাপে কামড়ায় পূজাকে। সেসময় মেয়েকে স্থানীয় এক ওঝার কাছে নিয়ে যান তার বাবা দীপ। অভিযোগ, সেখানেই প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে ঝাড়ফুঁক করা হয়। তার পর মেয়েকে কলার ভেলায় নদীতে ভাসানোর কথা বলেন অভিযুক্ত ওঝা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সঠিক সময়ে শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে এলে তাকে বাঁচানো যেত।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ