সৌদি ফ্যালকন্স ক্লাব নিওম প্রকল্পের সাথে কৌশলগত একটি অংশীদারিত্ব চুক্তি সম্পন্ন করেছে। নিওমের প্রাকৃতিক সংরক্ষণ এলাকায় বাজপাখির আবাস উন্নয়নের ঘোষণা দিয়েছে তারা। ‘হাদাদ’ নামে এই চুক্তি একটি পরিবেশবান্ধব কর্মসূচির বাৎসরিক সভায় স্বাক্ষরিত হয়। উত্তর-পশ্চিম সৌদি আরবের নিওমে কর্মসূচিটি অনুষ্ঠিত হয়।
‘হাদাদ’ কর্মসূচি আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এবং বিপন্ন প্রজাতির সুরক্ষায় কাজ করে।
ফ্যালকন্স ক্লাব জানিয়েছে, এই অংশীদারিত্ব টেকসই বাজপাখি সংরক্ষণ এবং প্রাচীন ঐতিহ্যকে আধুনিক পদ্ধতির সাথে সংযুক্ত করে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ‘হাদাদ’ প্রকল্পের আওতায় নিওম সংরক্ষণ এলাকায় চার থেকে ছয়টি নিষ্ক্রিয় পাহাড়ি চাহিন বাজপাখির বাসা পুনরুজ্জীবিত এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পরিবেশগত মান বজায় রেখে বাজপাখিদের পুনর্বাসন করা হবে।
সংগঠনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘হাদাদ’ কর্মসূচি এমন একটি উদ্যোগ যা পাহাড়ি চাহিন বাজপাখির বাসা পুনরুজ্জীবনের মাধ্যমে কার্যকর পরিবেশগত পদক্ষেপ গ্রহণ করে এই গুরুত্বপূর্ণ প্রজাতির টিকে থাকার জন্য কাজ করছে। প্রকল্পের লক্ষ্য বাজপাখির প্রাকৃতিক প্রজনন বাড়ানো এবং পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা করা।
এছাড়া, এই অংশীদারিত্ব নিওমের ৯৫ শতাংশ ভূমি সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও পুনর্বাসনে নতুন বৈশ্বিক মানদণ্ড স্থাপনের প্রচেষ্টা প্রকাশ করে।
আরব উপদ্বীপে বাজপাখি পালন একটি জনপ্রিয় শখ এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। গত মাসে রিয়াদের কাছে আন্তর্জাতিক বাজপাখি প্রদর্শনীতে ৪৫টি দেশের ৪০০ প্রদর্শক অংশ নেয়।
উল্লেখ্য, সৌদি আরবের কর্তৃপক্ষ ‘নিওম’ প্রকল্পকে বর্ণনা করেছে বিশ্বের সবচেয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রকল্প হিসাবে। মেগা এই শহর দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বিশাল এলাকা জুড়ে লোহিত সাগরের তীরে গড়ে তোলা হচ্ছে । সৌদি আরব বলছে, ১৬টি অঞ্চল নিয়ে গঠিত হবে নিওম, আর ৩৩টি নিউইয়র্কের সমান হবে নতুন এই শহরের আকার। আর নিওম প্রকল্পের আওতায় শহরের মধ্যে আরেকটি শহর গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে - ১০০ মাইল লম্বা বিলাসবহুল যে শহরে পরিচিতি হবে দ্যা লাইন নামে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল