সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন না করলে আম-ছালা দুটোই যাবে বলেও মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রধান কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম। তিনি আলোচনা করে অবিলম্বে সবার অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে কয়েকটি দলের সমন্বয়ে গঠিত নতুন জোট জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের (এনডিএফ) সংবাদ সম্মেলনে কাদের সিদ্দিকী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আশা করি শীঘ্রই সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, শেখ হাসিনা কাল যেভাবে হেসে হেসে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটি নির্বোধের মতো হয়েছে। খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, অবরোধের মধ্যে কারও সঙ্গে আলোচনা না করেই হরতাল কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। এটি ঠিক হয়নি।
অনুষ্ঠানে বিকল্পধারার চেয়ারম্যান বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, যে নির্বাচন হয়েছে সেটি তথাকথিত। নির্বাচন ঘিরে নির্বাচন কমিশন যে ভূমিকা পালন করেছে, তা ন্যক্কারজনক। কতজন ভোট দিয়েছে তা বের করতে কমিশন দুই দিন সময় লাগিয়েছে, অথচ এটি দুই ঘণ্টাতেই বের করা যায়। নির্বাচন কমিশন সরকারের প্ররোচনায় প্ররোচিত।
তিনি বলেন, বালির ট্রাক দিয়ে একজনকে অবরুদ্ধ করে রাখা হলো। গলফের মাঠে নিয়ে অন্য জনকে চিকিৎসা দেওয়া হলো। কী অদ্ভুত চিকিৎসা! সরকারের এ ধরনের কর্মকাণ্ডে হাসি পায়। সেই হাসির মধ্যেও লজ্জা থাকে। বাংলাদেশের ভবিষ্যত কী বোঝা যাচ্ছে। তিনি নির্বাচন বাতিল করে সবার সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী নির্বাচন আয়োজন করার দাবি জানান।
নতুন জোট জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পড়েন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক। বক্তব্যে পাঁচটি দাবি তুলে ধরা হয়েছে: প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করতে হবে; সংসদের উচ্চকক্ষ গঠন করে সেখান থেকে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের বিধান করে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বারবার সংকটের সমাধান করতে হবে; নির্দলীয় ও জবাবদিহিমূলক নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে; মিছিল, মিটিং ও সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে এবং বিরোধী দলকে অবিলম্বে জ্বালাও-পোড়ার-সহিংসতা বন্ধ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জাসদের (রব) প্রধান আ স ম আবদুর রব। বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) ও বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।