ঋণখেলাপির অভিযোগ থাকায় চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজের সংসদ সদস্য পদ কেন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না, এর কারণ জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি হাবিবুল গনি সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এ রুল জারি করেন।
আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে এর জবাব দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আ স ম ফিরোজ, নির্বাচন কমিশন সচিব, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব, আইন সচিব, সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষসহ ৯ বিবাদীকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলেছেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রফিক-উল হক। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সিদ্দিকুর রহমান খান ও এম মনিরুল ইসলাম।
গত সপ্তাহে আ স ম ফিরোজের সংসদ সদস্য পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনটি করেন বাউফল পৌর মেয়র জিয়াউল হক।
জানা যায়, পটুয়াখালী জুট মিলস লিমিটেডের পরিচালক আ স ম ফিরোজ। ওই প্রতিষ্ঠানের নামে সোনালী ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণ ২০০৯ সাল থেকে খেলাপি হিসেবে আছে।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১২ (১) (এম) অনুসারে মনোনয়নপত্র দাখিলের ৭ দিন আগে খেলাপি ঋণের তালিকা থেকে নাম বাতিল করতে হয়। কিন্তু টাকা জমা দেয়ার পর ২৭ নভেম্বর তার নাম তালিকা থেকে বাদ পড়ে এবং ঋণপুনর্বিন্যাস করা হয়। নির্ধারিত সময়ে তিনি ঋণ পরিশোধ করেননি। এতে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না।