বাংলাদেশে সম্পর্কে জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার জেহাদ ঘোষণা সংক্রান্ত ভিডিও বার্তা প্রসঙ্গে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাছান মাহমুদ খন্দকার বলেছেন, সর্বোচ্চ তৎপরতা, প্রশাসনের সবগুলো সংস্থার তদারকি, দেশের জনগণের সচেতনা স্বতঃস্ফূর্ত ভূমিকা ও সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তিনি বলেন, আমার জোর গলায় এ অর্জনের কথা উল্লেখ করছি। আল-কায়েদার ভিডিও বার্তাটি যাচাই বাছাই চলছে। এ বিষয়ে আমরা ওয়াকিবহাল আছি।
আজ রবিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে আইজিপি জেলা পুলিশ ভবনে জেলা পুলিশের উদ্যোগে নির্মিত আইসিটি ও সিসি ক্যামেরা কন্ট্রোল রুম উদ্বোধন করেন। পরে তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ আয়োজিত শহরের মাসাদাইর এলাকার পুলিশ লাইনস মাঠে পুলিশের বার্ষিক সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে উপস্থিত হন। এ সময় আইজিপির স্ত্রী রোমাইসা সামাদ উপস্থিত ছিলেন।
বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ভিডিও বার্তায় দেওয়া আল-কায়েদার একটি টিম বাংলাদেশ এসেছিল কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তের আগে এ বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।
জামায়াত হেফাজতের তাণ্ডব বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০১৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে পুলিশ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চমর আত্মত্যাগের পরিচয় দিয়েছে। নিজের জীবনের আত্মাহুতি দিয়ে দেশপ্রেম ও জনগণের জানমাল রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।
নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় শিশু, কিশোর স্কুল ছাত্র হত্যা অপহরণ প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, এটি একটি পুরনো প্রক্রিয়া। এটি অবহিত রয়েছি। প্রত্যেকটি স্থানে আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি। কোনও অভিযোগ থাকলে আমাদের জানাবেন।
সাংবাদিকদের সাথে আইজিপির আলোচনার সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নূরুল ইসলামসহ ঢাকা রেঞ্জের ডিআজিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।